মহানগর ডেস্ক্ঃ ক্রমাগতই ক্ষতি বাড়ছে ফ্লিপকার্ট সংস্থার। এই সংস্থা একটি নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে জানিয়েছে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের জন্য প্রায় ৪৬ শতাংশ ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৮০০ কোটি টাকা। এই সংস্থার ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় একটাই প্রশ্ন উঠে এসেছে, ক্ষতি পোষাতে সংস্থার তরফে ডেলিভারি চার্জ বাড়াবে কিনা।
ফ্লিপকার্টে জিনিস কেনার পরে ক্যাশ অন ডেলিভারি অতিরিক্ত ফি নেবে ফ্লিপকার্ট । ডেলিভারি পণ্যের দাম যাই হোক না কেন, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি ধার্য করা হবেই। তবে প্রি পেইড অর্ডারের ক্ষেত্রে কোনও ফি নেওয়া হবে না।
পণ্যের দাম নির্দিষ্ট টাকার মধ্যে হলে কোম্পানি আলাদা আলাদা চার্জ করে। ফ্লিপকার্ট প্লাসে কেনা পণ্যের দাম ৫০০ টাকার কম হলে ৪০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দিতে হয়। তবে ৫০০ টাকার বেশি মূল্যের পণ্যের ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোনওরকম ফি নেই।
ফ্লিপকার্ট নিজের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ডেলিভারি চার্জের মধ্যে কোনও লুকোনো খরচ নেই। অতিরিক্ত কত টাকা চার্জ করা হবে তা নির্ভর করে বিক্রেতা কীভাবে বা কীসের মাধ্যমে জিনিসপত্র পাঠাবে তার উপর। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আগে ক্যাশ অন ডেলিভারি-র ক্ষেত্রে কোনওরকম চার্জ নিত না ফ্লিপকার্ট। তবে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তা নেওয়া শুরু করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফ্লিপকার্ট ইন্ডিয়া এবং বিটুসি ই-কমার্স ইউনিট ফ্লিপকার্ট ইন্টারনেটের সম্মিলিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও এর মধ্যে ধরা হয়েছে। এই ২টি ইউনিটের ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষে ৫৩৫২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলত প্রিপেইড ডেলিভারির ক্ষেত্রেও এবার চার্জ বাড়ার সম্ভাবনাই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্লিপকার্ট ইন্টারনেটের ক্ষতির পরিমাণ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ছিল ২৯০৭ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৩৯৯ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ফ্লিপকার্ট গোষ্ঠীর সামগ্রিক ইউনিটের যেমন Myntra, Instakart ইত্যাদির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে।