মহানগর ডেস্ক : শীত মানেই নানা ধরনের অনিয়মের শুরু। উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়া, কম জল খাওয়া, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে সামিল হওয়া ইত্যাদি লেগেই থাকে। আর এই থেকেই হয় অনিয়মের শুরু। শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা। তাছাড়া শীতকালে বেশি করে চা কফি খাবার ফলেও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ কমে যায় শরীরে।
তাই শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। তবে এর নিয়ন্ত্রণের উপায় রয়েছে হাতের কাছেই। ভরসা রাখতে হবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ওপর। তাহলেই চোখের পলকে কমে যাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো নিদারুন সমস্যা। পাশাপাশি লাগামটা আনতে হবে অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইলে।
খেজুর : এমন এক খাবার যা ভাতা এবং পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া প্রাকৃতিক এই মিষ্টি জাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য ,গাটের ব্যথা, চুল পরা, ক্লান্তি ভাব কমাতে সাহায্য করে। প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে দু থেকে তিনটে খেজুর গরম জলে ভিজিয়ে খেয়ে ফেলুন।
মেথি : আমাদের প্রত্যেকের রান্নাঘরে এই উপাদান খুব সহজেই পাওয়া যায়। এটি চুল পড়া রুখতে যেমন সাহায্য করে তেমন কোষ্ঠকাঠিন্যেও দারুন উপযোগী। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সকাল বেলা খালি পেটে মেথি ছেঁকে নিয়ে খেয়ে ফেলুন সেই জল।
গরুর দুধের তৈরি ঘি : আজকাল বাজার চলতি প্রচুর ঘি আমাদের হাতের কাছে পাওয়া যায়। তবে সে ক্ষেত্রে একটু পরিশ্রম করে খুঁজে নিন ভেজাল বিহীন গরুর দুধের তৈরি ঘি। শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও প্রত্যেকদিন এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করে দেখুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে বিদায় নেবে।
আমলকি : আমলকি আমাদের চুলের জন্য ভীষণ উপকারি একথা আমরা অনেকেই জানি। আর শীতকালের মরশুমে বাজারে খুব সহজেই আমলকি পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে উপকার পাবেন অনেক। এছাড়া এক চামচ আমলকির গুঁড়ো কিংবা তিনটে তাজা আমলকির রস খেতে পারেন।
কিসমিস : চুল এবং ত্বকের পাশাপাশি কিসমিস আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও ভীষণভাবে উপকার করে। চার-পাঁচটা কিসমিস এক কাপ জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর পরের দিন খালি পেটে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই খেয়ে ফেলুন।