মহানগর ডেস্ক: দ্বিতীয়বার বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মায়ের পছন্দের পাত্রী হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের পিহোয়া গ্রামের বাসিন্দা গুরপ্রীত কৌরের সঙ্গে গাটঁছড়া বেঁধেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

ভগবন্ত মানের বিয়েতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়, পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবসহ ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদরা। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মায়ের বহুদিনের ইচ্ছে ছিল যে ছেলে আবার বিয়ে করুক। কিন্তু নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার কারণে পিছিয়ে যায় বিয়ে। সেইসঙ্গে মান চাননি তাঁর বিয়ে কারোর ডাইনিং টেবিলের চর্চার বিষয় হয়ে উঠুক। এদিনের অনুষ্ঠানে অরবিন্দ কেজিওয়াল থেকে শুরু করে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, ভগবন্তের স্ত্রী গুরুপ্রীত কৌর পেশায় চিকিৎসক। তাঁর বাবা ইন্দ্রজিৎ সিংহ কৃষক এবং মা গৃহবধূ। গুরুপ্রীতরা তিন বোন। বড় দিদি থাকেন আমেরিকায় এবং আরেকজন অস্ট্রেলিয়ায়।

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিয়েতে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা
প্রতিবেশীদের বক্তব্য, খুব দয়ালু, যত্নবান এবং বুদ্ধিমতী প্রকৃতির মেয়ে গুরপ্রীত। পাড়ার ছোটরা তাঁকে ‘গোপী দিদি ‘ বলে ডাকে। সূত্র অনুযায়ী, বিগত চার বছর ধরে একজন আরেকজনকে চেনেন মান ও গুরুপ্রীত। তবে দু’বছর আগেই তাঁদের বিয়ের কথা শুরু হয়। পরিবার সূত্রে, ২০১৯ সালে সঙ্গরুর লোকসভা কেন্দ্রে মানের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করছিলেন গুরপ্রীত। যার পর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা ইন্দ্রজিৎ সিংহ নট মদনপুর গ্রামের প্রধান ছিলেন। সপরিবারে পিহোয়ার তিলক কলোনিতে থাকতেন তাঁরা। সম্প্রতি মোহালিতে থাকা শুরু করেছেন। অন্যদিকে তাঁর কাকা গুজিন্দর সিংহ নট আম আদমি পার্টির নেতা।

গুরপ্রীত কৌরের সঙ্গে মান
সূত্র অনুযায়ী, এদিন বিয়ের অনুষ্ঠান আড়ম্বরপূর্ণ না হলেও, খাবার মেনুতে নজর ছিল সকলের। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিয়ে বলে কথা। তাই মেনুর ধরনে ছিল ‘শাহি’ ভাব। বিদেশী খাবার থেকে শুরু করে দেশীয় খাবার সমস্ত কিছুই ছিল। রকমারি স্যালাড থেকে বিরিয়ানি, কড়াই পানির থেকে তন্দুরি কুলচে, ডাল মাখানি থেকে লাসাঙ্গা সিসিলিয়ানো, মৌসুমী সব্জি থেকে কটেজ চিজ স্টিক, ফক্স নাট রায়তা থেকে বুরানি রায়তা সমস্ত কিছুই ছিল বিয়েতে। স্যালাডের মধ্যেও রকমফের ছিল। এক কথায় বিয়েতে জাঁকজমক না থাকলেও, খাবারের মেনু ছিল ধুয়াদার।