মহানগর ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তর একটি গুরুতর ইস্যু। এই ধরণের কাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সোমবার একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের হুঁশিয়ারি, জোর করে ধর্মান্তর বন্ধ (Forced Conversion) করা না হলে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে। বিচারপতি এমআর শাহ ও হিমা কোহলির বেঞ্চ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে লোভ দেখিয়ে এই ধরণের কাজ বন্ধ করার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায়। বেঞ্চ এদিন জানায়, এটা একটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। জোর করে ধর্মান্তর বন্ধ করতে কেন্দ্রকে আন্তরিক পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহলে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে। কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা তাদের জানানো হোক। কেন্দ্রকে পদক্ষেপ নিতেই হবে।
বেঞ্চের মতে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে। সেইসঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও দেশবাসীর বিবেকের ওপরও এটি প্রভাব ফেলবে। কাজেই কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরবর্তী কী কী পদক্ষেপ করবে, তা জানাতে হবে। এদিন হুমকি, নানা উপহারের লোভ,আর্থিক সহায়তার টোপ দিয়ে প্রতারণামূলক ধর্মান্তর নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের মামলার শুনানি চলার আদালত এই কথা জানায়। দেশের বেশ কিছু রাজ্যে জোর করে ধর্মান্তর নিয়ে ব্যাপক শোরগোল ওঠে। কিছুদিন আগে একটি গির্জার বিরুদ্ধে করোনার সময় আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে জোর করে ধর্মান্তরের অভিযোগ ওঠে। মূলত দরিদ্র মানুষদেরই আর্থিক সাহায্য দিয়ে জোর করে ধর্মান্তরের অভিযোগ ওঠে ওই গির্জার বিরুদ্ধে। খ্রীস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত না হলে তাদের প্রাণেরও ভয় দেখানো হয়। তবে শুধু গির্জাই নয়, হিন্দু বা মুসলিম সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও জোর করে ধর্মান্তরের অভিযোগ উঠেছে।