মহানগর ডেস্ক: অ্যানেসথেসিয়া (Anaesthesia) না করে মহিলাদের টিউবেকটমি (বন্ধ্যকরণ) করার অভিযোগ উঠল বিহারের খাগারিয়ায়। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের বিছানায় জোর করে শুইয়ে হাত ও পা জোর করে ধরে রেখে মুখে কাপড় গুঁজে দেন। তারপর অস্ত্রোপচার করেন (Forced Sterilisation) বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমনই অমানবিকভাবে জনা চব্বিশেক মহিলাকে বন্ধ্যকরণের অস্ত্রোপচার করা হয়। জেলার আলাউলি ও পারবাট্টা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের অধীনে টিউবেকটমি করাতে যান তাঁরা। অস্ত্রোপচারের সময় মহিলাদের বিছানায় ফেলে হাত-পা জোর করে চেপে ধরে মুখে কাপড় গুজে অস্ত্রোপচার করা হয়। যে ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময় এবং পরে অসম্ভব যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন মহিলারা বলে জানা গিয়েছে।
খাগারিয়ার সিভিল সার্জন অমরনাথ ঝাঁ জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। এবং যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল,তাদের কাছ থেকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। টিউবেকটমি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। সিভিল সার্জন জানান, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই সংগঠনটি অমানবিক কাজে লিপ্ত ছিল।
ওই সংগঠনটি মহিলাদের টিউবেকটমি করার জন্য অ্যানেসথিসিয়া করার কথা থাকলেও তা করেনি। প্রতিটি টিউবেকটমির জন্য সরকার একুশশো করে টাকা দিয়ে থাকে। সিভিল সার্জন জানান ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এধরণের কাজ অপরাধমমূলক কার্যকলাপের মধ্যে পড়ে। তাদের এই কাজে যাঁদের টিউবেকটমি করা হয়েছে, তাঁদের জীবনে বড়রকমের ঝুঁকি ডেকে আনতে পারতো। প্রসঙ্গত,২০১২ সালে বিহারের আরারিয়া জেলায় একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে তিপ্পান্নজন মহিলাকে টিউবেকটমি করানো হয়েছিল অ্যানেস্থাসিয়া না করে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মেডিকেল কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনের জেল হয়। .