মহানগর ডেস্ক: সদ্য সরকারি কলেজে যোগ দিয়েছে ছাত্রীটি। কিন্তু নতুন কলেজে যোগ দিয়ে তাকে যে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, সে ভাবেনি। কলেজে ঢোকার পরই তাকে আচমকা জোর করে চুমু খেল (Forced To Kiss In College) জনা পাঁচেক ছেলে। যাদের মধ্যে দুজন নাবালকও (Two Minors) রয়েছে। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়ে সদ্য কলেজে যোগ দেওয়া ছাত্রীটি। জোর করে চুমু খাওয়ার দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত দুই নাবালক-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police Arrested Five Students)। তাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার একটি কলেছে। গোটা ঘটনায় জড়িত থাকা বারোজন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ মাসের শুরুতে হায়দ্রাবাদেও এক সদ্য কলেজে যোগ দেওয়া ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায়। ওড়িশার সরকারি কলেজে গত মাসে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় ওই তরুণীটি। তাকে কলেজ চত্বরে সিনিয়র ছাত্রদের উস্কানিতে একটি ছাত্র তাকে জোর করে চুমু খায়। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে ছাত্রীটি সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক সিনিয়র ছাত্র তার হাত ধরে ফেলে। অভিযুক্তের হাতে একটি লাঠিও দেখা যায়। এক ছাত্র তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিলে অভিযুক্ত তাকে এক চড় মারে। ঘটনাটি অন্য ছাত্রীদের সামনে ঘটলে তারা যৌন হেনস্থার প্রতিবাদের বদলে হাসাহাসি করতে থাকে। ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করে কলেজের ডিসিপ্লিনারি সেল ও অ্যান্টি রাগিং সেল তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষা। তিনি জানান অভিযুক্তদের বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
এই ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক এডুকেশন কাউন্সিলকে চিঠি লিখবেন। পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রাগিং ও পস্কো এবং আইটি আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ধৃত নাবালকদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হবে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চব্বিশ বছরের অভিষেক নায়েক ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। বর্তমানে যৌন হেনস্থা মামলায় জামিনে রয়েছে। তাকে শাসক দল বিজেডির ছাত্র সংগঠন কলেজের ক্যাম্পাস কমিটিতে মনোনীত করেছে। সেই ওই ছাত্র সংগঠনের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। বহরমপুরের এসপি জানিয়েছেন,এটি শুধু একটি রাগিংয়ের ঘটনা নয়। এটি যৌন হেনস্থারও ঘটনা। ওড়িশার পুলিশ বারবার বলে আসছে এধরণের ঘটনা ঘটলে রাগিং হেল্পলাইনে ফোন করার জন্য।
.