মহানগর ডেস্ক: আতঙ্কের নাম ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। পালামৌ-য়ে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ছজন মিলে গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চাইবাসায় আদিবাসী ছাব্বিশ বছরের এক মহিলা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারকে দশজনে মিলে গণধর্ষণের (Gang Rape By Ten People) ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে হেমন্ত সোরেন সরকারের রাজ্য। এই ঘটনায় পুলিশ দশজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মারধর ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। ওই তরুণীর সামনেই মারধর করা হয়েছে তাঁর পুরুষসঙ্গীকেও। পুলিশ নিগৃহীতার বয়ান রেকর্ড করেছে। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, গত কুড়ি তারিখে তিনি যখন বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন,তখন ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতিতার বয়ান মোতাবেক পুলিশ জানিয়েছে ওই তরুণী রাস্তার ধারে যখন কথা বলছিলেন,তখন আট থেকে দশজন এসে তাদের ধাক্কাধাক্কি করে। তারপর ওই তরুণীকে জোর করে একটি জায়গায় নিয়ে যায় এবং গণধর্ষণ করে। এই ঘটনায় পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে সদর হাসপাতালে নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে চাইবাসা মফসসল থানার অধীনে টেকরাহাটুতে একটি এয়ারোড্রামের কাছে। নির্যাতিতা ঝিকপানি থানার অধীনে ওই সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার থাকেন। তিনি একটি ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে সন্ধ্যেবেলায় আদিবাসী তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে টেকরাহাটু এয়ারস্ট্রিপের বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন। সেসময়ই আট থেকে দশজন যুবক তাঁদের ওপর চড়াও হয়। তরুণীকে টানতে টানতে সামনের একটি ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
•