মহানগর ডেস্ক: সামনেই ত্রিপুরার (Tripura) উপনির্বাচন। সম্প্রতি সেখানে পা রেখেছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সেরাজ্যে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সেই মর্মে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) । তাঁর কথায়, ত্রিপুরেশ্বরী রাজ্যে অভিষেক পৌঁছালেই হৃৎকম্প শুরু হয়ে যায় বিজেপির। তাঁর বক্তব্য, টিএমসিকে ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। যেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা শুরু হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় দল। ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছে ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘটনার সমস্ত রকম বিবরণ কমিশনকে জানিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে বিজেপিকে। তার কারণ আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেরাজ্যের সফরে বলে এসেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আদতে বিগ ফল্প। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে একহাত নিয়েছে কুণাল।
আরও পড়ুন:দিল্লি থেকে ফিরেই দক্ষিণেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রী, কড়া নিরাপত্তা মন্দির চত্বরে
তাঁর কথায়, তৃণমূলের চাপে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল করেছে। মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের রাজত্বে অপশাসন, সন্ত্রাস চলছে। এই সরকার ব্যর্থ। আজও তাদের কাছে জবাব নেই, কেন মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিপ্লব দেবকে? এরপর তিনি আরও বলেছেন যে, ত্রিপুরায় বিজেপির নীতি ‘দুয়ারে গুণ্ডা’। যেখানে বাংলায় ‘দুয়ারে সরকার’। এতটাই নৃশংস হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি যে, ঘাসফুলে যোগ দেওয়ার কারণে সুরমায় অবিনাশ মালাকারের গোটা পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে। রেহাই পায়নি শিশুও।
তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনার পর সুরমাতে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একইভাবে এই সফরেও বাধা তৈরীর চেষ্টা করবে বিজেপি। প্রসঙ্গে ১৩ তারিখ তৃণমূলের সভায় বিজেপির পাথর ছোড়ার ঘটনার উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিন ত্রিপুরায় যে নৃশংস ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাতেই গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়েছেন কুণাল ঘোষ।