মহানগর ডেস্ক: অমানবিক তো বটেই, মর্মান্তিকও। বিহারের (Bihar) সমস্তিপুরের একটি গ্রামে এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে বিয়ের নাম করে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় এক কিশোরীকে। ধর্ষিতার গলায় সুতোর তোয়ালে পরিয়ে তাকে ঘোরানো হল গোটা গ্রামে (Girl Paraded After Rape)। আউরঙ্গাবাদ থানার অধীনে একটি গ্রামে ওই ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police Arrested Three Persons)। তবে অভিযুক্তের মা পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে অক্টোবের ছাব্বিশ তারিখে।
এলাকার স্টেশন হাউস অফিসার পুষ্পলতা কুমারী জানিয়েছেন অভিযুক্ত বিপিন পাসোয়ানের সঙ্গে ওই মেয়েটির অতীতে সম্পর্ক ছিল। সে মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর টানা তিনদিন তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটির কথা গ্রামের লোকেরা জানতে পারার পর অভিযুক্তের কাজে আপত্তি জানায়। অভিযুক্ত বিপিনের বাবা নানকি পাসোয়ান, ভাই সুনীল মেয়েটির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। গলায় তোয়ালে জড়িয়ে মেয়েটিকে সারা গ্রাম ঘোরায়। অমানবিক হেনস্থার পর থাকতে না পেরে নিগৃহীতা কিশোরী থানায় অভিযোগ জানায়। পুলিশকে সে সমস্ত ঘটনা জানায়। তার অভিযোগ পেয়ে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। মোট চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের মায়ের খোঁজ পায়নি পুলিশ। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এমন অমানবিক ঘটনা ঘিরে গোটা গ্রামে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।