মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া প্রকল্প অগ্নিপথকে (Agnipath) ঘিরে অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ। এর মাঝে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী (Haryana CM) এমএল খাট্টার বলেছেন, ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীর যারা চার বছরের চাকরির পরে ফিরে আসবে, তাদের রাজ্য সরকার থেকে চাকরি দেওয়া হবে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, চার বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর যারা ফিরে আসবে তাদের হরিয়ানা সরকার চাকরি দেবে। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর বক্তব্য, গ্রুপ সি চাকরির জন্য যে কোনও ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন অগ্নিবীররা। তা না হলে পুলিশের চাকরি রয়েছে, যা তাঁদেরকে দেওয়া হবে।
গত ১৪ জুন রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। বলা হয়, চার বছরের চুক্তিভিত্তিতে এই প্রকল্পের অধীনে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হবে নৌ, সেনা এবং বিমান বাহিনীতে। মেয়াদ শেষে কিছু জনকে স্থায়ীভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হবে এবং বাকিদের এককালীন টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। মিলবে মেডিকেল সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধে। বেতন ৩০-৪০ হাজার টাকা হলেও, দেওয়া হবেনা পেনশন। যাঁদের এই নতুন প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ করা হবে, তাঁদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন সেনাবাহিনীতে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এই প্রকল্পের জেরে তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
আরও পড়ুন: মুখ পুড়ল পর্ষদ সভাপতির, মানিক ভট্টাচার্যের জরুরি শুনানি খারিজ করে দিল আদালত
দেশের নানা প্রান্ত বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। পরবর্তীতে সরকার এই বছর নিয়োগের জন্য বয়সের সীমা ২৩বছর পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে। সেইসঙ্গে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সিএপিএফ ও অসম রাইফেলসে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। ওই আধাসামরিক বাহিনীগুলিতে নিয়োগের জন্য বয়সেও তিন বছরের ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় বিক্ষোভকারীরা।
করোনার কারণে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত রাখা হয়েছিল। মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বারা এই মডেলের ঘোষণার পর থেকে, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেছে যুবসমাজ। রাস্তায় নেমে ট্রেনের কামরায় কামরায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। রবিবার একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের কোনও ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হবে না। কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধী বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে সরকার যুবকদের কণ্ঠস্বরকে উপেক্ষা করছে। তাঁর বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি। তাঁর কথায়, গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। এদিন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীও পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।