Home Featured Govt on CAA to Supreme Court: অসমচুক্তি সহ কোনও জাতি সংস্কৃতির অধিকার খর্ব করে না CAA! SC-র কাছে দাবি কেন্দ্রের

Govt on CAA to Supreme Court: অসমচুক্তি সহ কোনও জাতি সংস্কৃতির অধিকার খর্ব করে না CAA! SC-র কাছে দাবি কেন্দ্রের

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্ক: ২০১৯ সাল। সংসদে পাশ হল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তথা CAA। কিন্তু চারিদিক দিয়েই সেই আইনের বিরোধীতা করে রব ওঠে। ফলে আইন কার্যকর করতে পারেনি কেন্দ্র। বিভিন্ন স্তর থেকেই দেশের নাগরিকদের অপমান বলে হইহই রইরই রব ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় অগণিত মামলা। আর সেই মামলার শুনানি হয় সোমবার। সেখানেই কেন্দ্রের পক্ষে রায় আসে। শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্রের তরফেই জানানো হয়, বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অসম কিংবা উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও জাতিরই সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব করে না। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পাশ হওয়া সিএএ নিয়ে দেশবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শনের যে কারণ দেখিয়েছে, তার সঙ্গে উত্তর ভারতের বিক্ষোভের কারণ ও অসমের এই আইনের বিরোধিতার কারণ ছিল বাকি দেশবাসীর দাবি থেকে একেবারেই ভিন্ন। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের এই দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘এই আইনে বর্ণিত ধারা অসম বা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মানুষ, ভাষা এবং সংস্কৃতির উপর কোনও প্রভাব ফেলে না।’ আরও পরিষ্কার ভাবে বোঝাতে গেলে বলা যায়, আদালতে অমিত শাহের মন্ত্রক বোঝাতে চেয়েছেন, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই আইন শুধুমাত্র সেই সব মানুষদের জন্য প্রণীত যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, এবং আফগানিস্তান থেকে এদেশে শরণার্থী হিসেবে এসেছিলেন। কেন্দ্র জানায়, এই আইন শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট ‘কাট-অফ’ তারিখ উল্লেখিত রয়েছে আইনে।

এখানেই শেষ নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে শীর্ষ আদালতকে আরও জানানো হয় যে, আইনের বিশেষ বিধান বলে অসম, মেঘালয়, মিজোরাম বা ত্রিপুরার আদিবাসী এলাকা বা ‘ইনার লাইন’ এলাকায় কোনও বদল আসবে না এই আইনের জন্য। এমনকি ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তির কোনও ধারা লঙ্ঘন করা হচ্ছে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে। এছাড়া কেন্দ্রের বক্তব্য, অসমের বেআইনি অনুপ্রবেশকেও প্রশ্রয় দেয় না সিএএ। এমনকি এই আইন কোনও ভাবেই দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা ধর্মনিরপেক্ষতাকে অক্ষুন্ন করে না।

You may also like