মহানগর ডেস্ক: দিল্লির গা শিরশির করা রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের পর এবার নৃশংতার (Grisly Killing) আরেক নজির মধ্যপ্রদেশের জবলপুর। সেখানে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুনের পর তার রক্তভেজা দেহের (Blood Sprayed Body) সামনে ভিডিও তুলে তা পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি খুনের কয়েক সপ্তাহ পরে তোলা হয়েছে। পুলিশ খুনির নাম অভিজিৎ পতিদার বলে জানতে পেরেছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে তারা। মৃতার নাম শিল্পা ঝরিয়া। বয়েস পঁচিশ। মেখলা রিসর্টের একটি রুমে তার রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তহিম করা ভিডিওটি পোস্ট করে অভিযুক্ত লিখেছে, কখনও অবিশ্বস্ত হয়ো না। তারপরই কম্বল তুলে ফেলে। দেখা যায় গলা কাটা তরুণীর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
আরেকটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় অভিজিৎ নামে অভিযুক্ত দাবি করে মৃত তরুণী জিতেন্দ্র নামে একজনের কাছ থেকে বারো লক্ষ টাকা ধার নিয়ে জবলপুরে পালিয়ে এসেছিল। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই সে ওই তরুণীকে খুন করেছে। তিন নম্বর পোস্টে সে লিখেছে আমরা স্বর্গে গিয়ে মিলিত হবো। অভিযুক্ত জিতেন্দ্রর সহযোগী সুমিত প্যাটেলেরও নাম করেছে। দুজনকেই পুলিশ বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে। তাদের দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। স্পেশাল এসপি প্রিয়াঙ্কা শুক্লা জানান অভিযুক্ত পাটনায় জিতেন্দ্রর বাড়িতে একমাস ছিল। অভিজিতের খোঁজে বিহার ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে তল্লাশি চালাচ্ছে। খুনের বিবরণ দিয়ে পুলিশের অতিরিক্ত এসপি শিবেশ বাগেল জানিয়েছেন, নভেম্বরের ছ তারিখে মেখলা রিসোর্টের একটি ঘর বুক করে অভিযুক্ত। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে সেই রাতে সে ঘরে একাই ছিল। পরের দিন সন্ধ্যেয় একটি মেয়ে রিসোর্টে একটি মেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। অভিজিৎ খাবারের অর্ডার দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর সে দরজায় তালা মেরে চলে যায়। নভেম্বরের আট তারিখে হোটেলের লোকজন দরজা ভেঙে ঢুকে ওই তরুণীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পুলিশের চারটি স্পেশাল টিম এবং সাইবার সেল অভিযুক্তের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে।