মহানগর ডেস্ক : শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়েই আমরা অনেকে ভাবি চুলের কি নিদারুণ যত্নই না করি আমরা। কিন্তু আদতে এই যত্ন কিন্তু দায় সারা। এতে চুলের আখেরে কোন লাভ হয় না। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই যদি চুলের যত্ন হত তাহলে চুলের আলাদা করে পুষ্টির প্রয়োজন হতো না।। হ্যাঁ তবে এটা ঠিক চুলের যত্নে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তবে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গেলে এর পাশাপাশি তেল হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি।
সময়ের অভাবে অনেকেই আমরা সব সময় চুলের যত্ন নিতে পারি না। তাই যেটুকু চর্চা তা ঐ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের উপরেই ভরসা রাখি। কিন্তু চুলের জন্য যদি একটু সময় দিয়ে চর্চা করা যায় তাহলে চুল ভালো থাকবে। অতিরিক্ত পরিচর্যার প্রয়োজন পড়বে না। ঠিক যেমন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর চুল শুকনো জরুরী। তেমনই আমরা তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল না মুছে গেঞ্জি বা সুতির কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখতে পারি। এর যাবতীয় জল শুষে নেবে কিন্তু আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
অনেকেই চুলের স্টাইলিঙয়ে ব্লো ড্রাই পছন্দ করেন। তবে এই ধরনের হিট কখনোই চুলের জন্য ভালো নয়। বরং অতিরিক্ত চুলে হিট ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে যায় গোড়া থেকে। ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক জেল্লা হারিয়ে ফেলে।
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের মতো অপর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সেরাম। এটি চুলকে বাইরে থেকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই হেয়ার সেরাম অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত।
পাশাপাশি মাসে একবার প্রোটিন পরিচর্যা এবং হেনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। পার্লারে গিয়ে না হলেও বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন প্রোটিন এবং হেনা। প্রোটিনের জন্য একটা ডিম ,দু তিন চামচ টক দই, এলোভেরা জেল মিশিয়ে ভালোভাবে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন তিরিশ মিনিট। তারপর হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এবং হেনার জন্য ব্যবহার করতে পারেন চা পাতার জল, হেনা পাউডার, টক দই, ডিম, লেবু ইত্যাদি।