মহানগর ডেস্ক: ওড়িশার (Odisha) ব্যস্ত শহর কটক। দিনের বেলা বড় রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে গাড়ি,লরি, অটো। সেইসময়ই সবাই এক নারকীয়,অমানবিক দৃশ্যের মুখোমুখি হলেন। দেখলেন দু হাত পা দড়ি দিয়ে বাঁধা এক যুবককে একটা স্কুটারে (Hand Tied Young Dragged) টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে বাইক আরোহী। বাইশ বছরের জগন্নাথ বেহরার অপরাধ তিনি সময়মতো পনেরোশ টাকা ফেরত দিতে পারেননি (Could Not Repay Timely)। তার শাস্তি হিসেবে তাঁর দুটো হাত স্কুটারের পেছনে বেঁধে কুড়ি মিনিট ধরে দু কিলোমিটার টানতে টানতে নিয়ে গেল স্কুটার আরোহী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অমানবিক দৃশ্য ভাইরাল হওয়ায় তোলপাড়া শুরু হয়েছে গোটা শহরে।
ঘটনার কথা পুলিশের কাছে জানানোর পর এই ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কটক শহরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আটক করা, অপহরণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। অমানবিক নিগ্রহের শিকার ওই যুবককে স্টুয়ার্টপাটনা থেকে সুতাহাট স্কোয়ার, যা দু কিলোমিটারের বেশি হাত বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে ওইভাবে টেনে নিয়ে যাওয়ার স্থানীয় কিছু মানুষ তাদের আটকায় এবং যুবকটিকে উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে ঠাকুর্দার শ্রাদ্ধের জন্য দুই অভিযুক্তের একজনের কাছে দেড় হাজার নিয়েছিলেন ওই যুবক। টাকা নেওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন তিরিশ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু তা দিতে পারেননি। তারপরই শাস্তি হিসেবে তাঁর হাত বারো ফুট দড়িতে বেঁধে স্কুটারে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ওই স্কুটার ও দড়ি আটক করেছে। পুলিশ ঘটনার সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কেন তা দেখতে পাননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।