Highlights |
|
|
|
মহানগর ওয়েবডেস্ক: জেএনইউ-এ তাণ্ডবের ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ৷ প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়েছে দেশের নানা প্রান্তে৷ বিরোধীরা সরকারের সমালোচনা করছে৷ সরকার ঢোক গিলে হলেও ঘটনার নিন্দা করছে৷ বারবার আঙুল উঠছে দিল্লি পুলিশের দিকে৷ এই অবস্থায় খোদ দিল্লি পুলিশের আইনজীবী রাহুল মেহরা ঘটনার নিন্দা করেন৷ টুইটে বলেন, আমি দিল্লি পুলিশের আইনজীবী৷ ভিডিও ক্লিপ্স দেখে লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে আসছে৷ গুণ্ডাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালিয়েছে৷ সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে৷ কোথায় ছিল আমাদের পুলিশ? আইনজীবী মেহরা আদালতে আম আদমি পার্টির হয়ে দাঁড়ান৷
I, as Standing Counsel @DelhiPolice, hang my head in shame after witnessing video clips of goons merrily entering JNU campus, creating mayhem &grievously injuring innocent students, damaging public property and then exiting the campus in capital city. Where is our force @CPDelhi?
— Rahul Mehra (@TheRahulMehra) January 5, 2020
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রবিবার সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। যার ফলে মাথায় আঘাত পান ছাত্র সংসদ জেএনইউএসইউ-এর সভাপতি ঐশী ঘোষ। সূত্রের খবর, আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই, যদিও সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। বেশ কিছু আহতকে ভর্তি করা হয়েছে এইমস-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। এক বিবৃতিতে জেএনইউএসইউ-দাবি করে, হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, এবং পড়ুয়াদের পাশাপাশি হামলার নিশানা ছিলেন বেশ কিছু প্রফেসরও।
তাদের বিবৃতিতে জেএনইউএসইউ জানায়, পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠি, রড, হাতুড়ি নিয়ে ঘুরছে এবিভিপি, সবাই মুখোশ পরে। ওরা ইট ছুড়ছে, পাঁচিল টপকে ঢুকছে, এবং হোস্টেলে ঢুকে ছাত্রদের মারছে। প্রহৃত হয়েছেন বেশ কিছু অধ্যাপকও। নির্মমভাবে আক্রান্ত হয়েছেন জেএনইউএসইউ-সভাপতি ঐশী ঘোষ, তাঁর মাথা থেকে অঝোরে রক্ত ঝরছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তাণ্ডবকারীদের হাতে হকি স্টিক, রড৷ তারা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি পুলিশ প্রধান অমূল্য পাতনায়েকের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন৷ রবিবারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা পুলিশের ভূমিকাই প্রশ্নের মুখে। সামনে থেকে ‘গেরুয়া’ বাহিনীর তাণ্ডব দেখলেও তারা কোনও পদক্ষেপই নেয়নি বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া নানা ভিডিও সেই কথাই বলছে। এমতবস্থায় সাঁড়াশি চাপে পড়ে জেএনইউ কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রিপোর্ট তলব করেছেন। আইজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পুলিশের আইনজীবী মাথা নত হয়ে আসার কথা বলছেন৷ তারপরেও কি দায় এড়াতে পারে পুলিশ?