মহানগর ডেস্ক: উদয়পুরে (Udaipur) দরজির হত্যার ঘটনায় এবার সরব হয়েছেন বিহারের (Bihar) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝি (Jitan Ram Manjhi)। সেইসঙ্গে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন আরজেডি সহ-সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারি, তেজস্বী যাদব সহ অন্যান্য নেতারাও। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘উদয়পুরে হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং মর্মান্তিক ছিল। দেশের আইনের নির্দিষ্ট ধর্মের স্বঘোষিত রক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার করা উচিত। অভিযুক্তদের চৌরাস্তার মোড়ে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত। যাতে পরবর্তীতে কেউ ধর্মের নামে এরম জঘন্য কাজ না করতে পারে’।
অন্যদিকে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব টুইট করে বলেছেন, ‘উদয়পুরের বর্বোরোচিত ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। ধর্মীয় চরমপন্থা শুধুমাত্র যে কোনও সম্প্রদায়কে অন্ধ করে না, তাদের চিন্তা করার ক্ষমতাও কেড়ে নেয় এটা তার প্রমান। অপরাধীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক’। প্রসঙ্গে শিবানন্দ তিওয়ারি বলেছেন, ‘আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে, তারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়। আমি রাজস্থান সরকারের কাছে তাদের সম্ভাব্য কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার জন্য আবেদন করছি’।
আরও পড়ুন: পাখির চোখ ২০২৪!নয়া কমিটি গঠন করল গেরুয়া শিবির
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় উদয়পুরের ধানমণ্ডি এলাকার এক দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। তারা নিহত দরজির কাছ থেকে প্রথমে জামার মাপ নেন। তারপরেই ধারলো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায়। পরবর্তীতে সেই মুহূর্তের ভিডিও তারা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিন রাজস্থান সরকার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটিতে এডিজি, আইজি থেকে শুরু করে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
धर्म के ऐसे तथाकथित रक्षकों को स्पीडी ट्रायल चला बीच चौराहे पर फांसी दी जाए ताकि धर्म के आड़ में कोई दुबारा ऐसी हरकत ना कर पाए pic.twitter.com/UyGtzo1dnL
— Jitan Ram Manjhi (@jitanrmanjhi) June 28, 2022
সূত্র অনুযায়ী, ঘটনার পর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির একটি দল উদয়পুর ছুটে যায়। দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আদেশের পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ আইনের অধীনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে। রাজস্থানের এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সেখানকার কংগ্রেস সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা।