মহানগর ডেস্ক: যতই দিন এগোচ্ছে ততই নকল জিনিসে চেয়ে যাচ্ছে বাজার। সে খাবার থেকে পোশাক কিংবা পণ্যসামগ্রী। সেগুলি শরীরে গেলেই চাপ সৃষ্টি করে কিডনির উপর। আর এই কিডনি শরীরের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। যদি এটি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে অন্যান্য অঙ্গেও সমস্যা শুরু হতে পারে। তাই কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। আর এই কিডনির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অনেক সময় বোঝা যায় না আমরা কিডনির সমস্যায় নিমজ্জিত হচ্ছো কি না। আর হলে সেখান থেকে মুক্তি কি হবে।
কিডনি ফেইলিউরের (kidney Failure) লক্ষণগুলো কী?কিডনি সংক্রমণ বা কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝা যায় না। তবে বেশকিছু সমস্যা একত্রে দেখা দিলে কিডনির ক্ষতির দিক নির্দেশ করতে পারে। সারাদিন আপনি যদি ক্লান্ত বোধ করেন, ঘুমাতে না আসে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় , ঘন ঘন প্রস্রাব, রক্তাক্ত বা বিবর্ণ প্রস্রাব, পায়ের গোড়ালি এবং চোখের চারপাশ যদি ফোলা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তবে আপনি যদি কিডনির সংক্রমণ এড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার প্লেটে রাখুন পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি, মুলো, আনারস ও ডিমের সাদা অংশ
পেঁয়াজ- কিডনির খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন পেঁয়াজ। পেঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, বি ভিটামিন এবং প্রিবায়োটিক ফাইবার। যা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটানোর সঙ্গে এর লবনাক্ত উপাদান কিডনি রোগকে ঠিক করে। কারণ পেঁয়াজ লবণের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফলে কাঁচা লবণ খাওয়ার প্রবণতা কমে।
রসুন- কিডনির রোগ এড়াতে অবশ্যই খান রসুন। কারণ, পেঁয়াজের মতো এটিও লবণের দারুণ বিকল্প। এমনকি রসুনে ভরপুর ভিটামিন সি, ভিটামিন বি 6, সালফার যৌগগুলির প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যও কিডনিকে সুস্থ রাখে।
বাঁধাকপি- বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে কিডনি সংক্রমণ থেকে রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য কিডনির ক্ষতিকে ব্যাহত করতে পারে।
মুলো- শীতকাল মানেই সব্জির বাজার। এবার বাজারে আসবে প্রচুর মুলা। কিডনির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পটাসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ মুলা। এটি কিডনি রোগের পাশাপাশি হৃদরোগ ও ছানি প্রতিরোধ করে।
আনারস- আপনি কি জানেন বাজারের ওই আনারসে লুকিয়ে রয়েছে কিডনির সমস্যার সমাধান। কারণ, আনারস একটি কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার, সেই সঙ্গে এটি ফাইবার, ভিটামিন সি, ব্রোমেলেন, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদিতে ভরপুর হওয়ায় কিডনির প্রদাহ কমানোর সঙ্গে তার সংক্রমন রোধ করে।
ডিম- অনেকেই ডিম খেতে ভালোবাসেন। আবার কেউ কেউ আছে ডিমের সাদা অংশ ফেলে দিয়ে কুসুম খেতে বেশী পছন্দ করে। কিন্তু এই সাদা অংশই কিডনির জন্য বেশি উপকারী। কিডনির প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে ডিমের সাদা অংশ। তাই কিডনি রোগ এড়াতে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট ডায়েট চার্টে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রেখে দিন এই খাবার গুলি।