মহানগর ডেস্ক : তেল মসলা দিয়ে কষিয়ে রান্না না হলে কি আর বাঙালির খাওয়া দেওয়া হয়। ওই আলু সেদ্ধ ভাত কিম্বা সেদ্ধ খাবার ওতো রোগীর পথ্য। ভালো করে জমিয়ে কষিয়ে রান্না না হলে যেন ঠিক জমে না। অথচ স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। বেশি তেল মশলা খেলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। আবার অন্যদিকে কোলেস্টেরল বসে রয়েছে থাবা মারার জন্য। আবার অনেক ক্ষেত্রে হয়তো কোলেস্টেরল ধরাও পড়ে গিয়েছে। কিন্তু খাওয়া কিছুতে কমাতে পারছেন না। তাহলে উপায়। জেনে নিন কম তেলে সুস্বাদু খাবার বানাবার কিছু সহজ পদ্ধতি। যাতে হাজার চেষ্টা করেও কোলেস্টেরল পারবি না অথচ রান্না হবে সুস্বাদু পরিপাটি।
১)কম তেলে রান্না করতে প্রথমেই রোজকার কড়াইয়ের থেকে বেছে নিন ননস্টিক কড়াই। এতে মাছ মাংস রান্না করলে অল্প তেলেই সবটুকু হয়ে যাবে।
২) অতিরিক্ত তেল মশলা দিলেই যে রান্নায় স্বাদ এসে যায় এমনটা ভুল। বোতল থেকে সরাসরি তেল না ঢেলে চামচে করে মেপে মেপে অল্প তেল ব্যবহার করুন। তাই একটা বড় পাত্রে তেল ঢেলে রাখুন সেখান থেকে চামচে করে অল্প অল্প করে তেল মেশান। একেবারে ডুবো তেলে না রান্না করে অল্প তেলে ঢেকে ঢেকে রান্না করুন।
৩) মুরগির মাংস হোক কিংবা পাঁঠার মাংস সব রান্নাতে একটু বেশি তেল লাগে। তবে রান্নার ক্ষেত্রে আর একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেক করে খেতে পারেন। এতে জমিয়ে কষিয়ে রান্না করার ঝঞ্ঝাট যেমন কমে যায়। এমনই নামমাত্র তেল ব্যবহারে খাবারের স্বাদ আসে অতুলনীয়।
৪) তেলের ব্যবহার এড়াতে মাছ মাংসে আগে থেকে তেল মশলা মাখিয়ে রাখুন। এতে রান্নার সময় অল্প তেল ব্যবহারে লাভ পাওয়া যায়।
৫) যেকোনো রান্না করার আগে তার আগে সবজি ভাপিয়ে নিন। এতে রান্নার সময় কম তেলে রান্না হয়ে যায়। পূজোর ঝোলের বদলে বানিয়ে ফেলুন মুরগির ভাপা। আবার মাছের ঝোল এর বদলে বানাতে পারেন পাতুরি।
৬) রান্নায় তেল এড়াতে ব্যবহার করতে পারেন দই। এতে খাবারে যেমন অন্যরকম স্বাদ আসে তেমনি দই ব্যবহার করে রান্না করলে খুব বেশি তেলের প্রয়োজন হয় না।