মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহারের উপর রাশ টানতে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হল,প্রেসক্রিপশনে কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম লেখার সময় চিকিৎসকদের যথেচ্ছ কারণের উল্লেখ করতে হবে।সব মেডিকেল কলেজগুলির কাছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তা অতুল গোয়েল চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন, ‘যাতে প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ালগুলির নাম লেখার সময় বাধ্যতামূলক ভাবে সঠিক ইঙ্গিত, কারণ এবং যৌক্তিকতা উল্লেখ করা হয়। শুধু চিকিৎসক বা অধ্যাপকদেরই নয়, ওষুধ বিক্রেতাদেরও সতর্ক করা হয়েছে যাতে কোনও রকম বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া গ্রাহকদের কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ না দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের নির্ধারণ করা ডোজ় ও কারণ দেখে তবেই দিতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ।’
সঙ্গেই তো আছে সামান্য সর্দি-কাশির ওষুধ। একটা অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স নিজের মতো করে নিলেই হল। দু’দিনের জ্বরেই বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন কী? ওষুধ তো জানাই আছে, কিনে নিয়ে নিলেই হল ওষুধের দোকান থেকে। তবে এই প্রবণতাই ডেকে আনছে বড় বিপদ নিশ্চিন্তের এই দাওয়াইয়ের মাধ্যমে অসুস্থতা কাটানোর।
জেনে রাখুন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হতে পারে যখন-তখন ইচ্ছেমতো ওষুধ সেবনে। যা আগামী দিনে বাড়িয়ে তোলে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা। আর অন্য অনেক দেশের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে এই দেশ সেই বিপদের নিরিখে। প্রায় সব চিকিৎসকেরা বলছেন, “এখনই সতর্ক না হলে এমন সময় আসবে কয়েক বছরের মধ্যেই, যখন বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক কারও শরীরে কাজই করবে না। তার বিকল্প ওষুধ বার করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।”