মহানগর ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। করোনার নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন১ ভয় ধরাচ্ছে উৎসবের মরশুমে। দেশে মোট ৩২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।৭৫২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন শুক্রবার নতুন করে। যা সর্বাধিক বিগত সাত মাসের মধ্যে। পাশাপাশি, দৈনিক সংক্রমণ একদিন আগে যা ছিল তার চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৪২।একজনের মৃত্যু হয়েছে দেশে ২৪ ঘণ্টায়।
সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। নোভেল করোনাভাইরাসের সাব ভ্য়ারিয়েন্ট জেএন১ নেপথ্যে রয়েছে নতুন করে করোনার এই প্রকোপে।একজনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে নয়ডাতে।সবচেয়ে বেশি সংক্রমিতের সংখ্যা কেরলে।করোনা রোগীর সংখ্যা সেখানে এই মুহূর্তে ২ হাজার ৮৭২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি চোখে পড়েছে গত চার সপ্তাহে।১০৪ জন গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে কর্নাটকে। কর্নাটকে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৭১। করোনায় চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ১৫ ডিসেম্বর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা JN.1-কে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ বলে উল্লেখ করেছে।তবেএখনও সম্যক ধারণা গড়ে ওঠেনি,যে এই নয়া রূপ কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।তবে যে ভাবে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ তাতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী,হেলাফেলা করা চলবে না সর্দি-কাশি হলে।বারবার হাত ধুতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খুব একটা প্রাণঘাতী নয় জেএন১, খানিকটা ওমিক্রণের মতো হতে পারে এর চরিত্র।যদিও,আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
গবেষকদের মত অনুযায়ী, কোনও ভাইরাস চরিত্রবদল করলে তার প্রভাব গোড়ার দিকে মারাত্মক হয়।অ্যান্টিবায়োটিকও সেভাবে তাকে কাবু করতে পারে না। তাই একই ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে জেএন১-ও।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁরা একাধিকবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।