মহানগর ডেস্কঃ আজও অনেকে মন থেকে করোনার আতঙ্ক পুরোপুরি কটিয়ে উঠতে পারেনি, তারই মধ্যেই আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘সিটাকোসিস’ তথা ‘প্যারট ফিভার’ নিয়ে সতর্ক জানাল। WHO-এর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার, প্যারট ফিভার বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে জানা যাচ্ছে, ইউরোপে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালে এই রোগ কে শনাক্ত করা হয়েছিল, যার নাম সিটাকোসিস বা প্যারট ফিভার। এমনকি এই সময়ে যারা যারা, এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেইসময় তাদের মধ্যে পাঁচজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছিল । মূলত পাখি থেকেই এই রোগ ছড়াচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে । বলতে গেলে ক্ল্যামিডিয়া পরিবারের পাখিদের থেকেই এই রোগ ছড়াতে পারে। যেমন- মুরগী,হাস, টিয়া পাখি থেকে শুরু করে একাধিক পাখি থেকে, এই রোগের জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তবে কোন পাখির থেকে এই রোগ ছড়াবে তা পাখিদের মধ্যে অনেক সময় সেই ধরণের লক্ষণ বোঝা যায়না, কিন্তু তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস, মল-মুর থেকে প্যারট ফিভার ছড়িয়ে পড়ে।
US সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যের ভিক্তিতে, “যেই পাখির শরীরে আগেই এই রোগ দানা বেঁধে আছে সেই সংক্রামিত পাখির নির্গত দূষিত ধূলিকণা, যদি শ্বাসের মাধ্যমে মানুষের দেহের ভিতর প্রবেশ করে যায় বা পাখি দ্বারা কামড় দিলে বা পাখির ঠোঁট এবং ব্যক্তির মুখের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমেও ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ঘটতে পারে। এইভাবেই সাধারণত প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হয় মানুষ। আবার সক্রামিত পাখি বা পশু খাওয়ার জন্যও এই রোগের খপ্পরে আপনি পড়তে পারেন”