মহানগর ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আসন্ন নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে, বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটে মোদি (PM Narendra Modi) লেখেন, “আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদীর মনোনয়ন সমগ্র ভারত জুড়ে সমাজের সকল স্তরে প্রশংসিত হয়েছে”। তাঁর কথায়, ‘ঝাড়খণ্ডের নেত্রীর ভারতের উন্নয়ন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি অসামান্য’।
Met Smt. Droupadi Murmu Ji. Her Presidential nomination has been appreciated across India by all sections of society. Her understanding of grassroots problems and vision for India’s development is outstanding. pic.twitter.com/4WB2LO6pu9
— Narendra Modi (@narendramodi) June 23, 2022
আগেই দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘সমাজের সেবা এবং দরিদ্রদের ক্ষমতায়নে তাঁর জীবন উৎসর্গ করার জন্য’ প্রশংসা করেছিলেন নমো। বলেছিলেন যে, তিনি আমাদের জাতির একজন মহান রাষ্ট্রপতি হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। যখন বিরোধী দলগুলি দেশের শীর্ষ পদের জন্য তাদের পছন্দ হিসেবে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করেছে।
১৯৫৮ সালে ওড়িশার এক আদিবাসী পরিবারে জন্ম তাঁর। পেশায় ছিলেন শিক্ষিকা। রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন ১৯৯৭-তে। রায়রাংপুরের জেলা বোর্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর দু’বার বিধায়কের আসন সামলেছেন। নবীন পট্টনায়েকের মন্ত্রিসভাতেও কাজ করেছেন। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে গত বছর পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রথম সদস্য যে, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মুর্মুর নির্বাচন বিরোধীদের জন্য একটা ধাক্কা বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: কাজের জায়গায়টি ইতিবাচক করতে চান? জেনে নিন কিভাবে
কারণ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন গভর্নর হওয়ায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে তিনি ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন এবং সাঁওতাল পরগনা প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধনের জন্য উত্থাপিত বিলগুলি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীরা তৎকালীন বিজেপি সরকারের CNT এবং SPT আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনীর আক্রমণাত্মক বিরোধিতা করেছিল। যা এই আদিবাসী নেত্রীকে একজন শক্তিশালী প্রশাসনিক উপজাতীয় নেতা করে তোলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে ওড়িশায় রাজনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হতে চায় এবং ঝাড়খন্ডে জায়গা করতে চায়। একসময় যেখানে তারা হেরেছিল।