মহানগর ডেস্ক: হোটেলের ঘরে গোপনে লাগানো হয়েছিল ক্যামেরা (Hidden Camera Installed)। পুরুষটি ও তাঁর বান্ধবীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তাতে তোলা হচ্ছিল (Black Mail)। যদিও তা ঘুণাক্ষরে টের পাননি তাঁরা। তারপরই তাদের কাছে ফোন আসে অচেনা নম্বর থেকে। দাবি করা হয় টাকা। টাকা না দিলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে। অভিযোগ পেলে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই চক্রে রয়েছে কয়েকজন। তারপর তক্কে তক্কে থেকে পুলিশ বিষ্ণু সিং, আবদুল ওয়াহাব,পঙ্কজ কুমার ও অনুরাগ কুমার নামে চারজনকে গ্রেফতার করা করে গৌতমনগর থানার পুলিশ।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় তারা একটি বেআইনি কলসেন্টার চালায়। এই চক্র ফাঁসের পাশাপাশি নয়়ডায় তিনটি চক্রের খোঁজ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে বিষ্ণু এবং আবদুল ওওয়াইও রুমে গোপনে দম্পতির অন্তরঙ্গ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করতো। তারা ভয় দেখাতে টাকা না দিলে তাঁদের গোপন ছবি ফাঁস করে দেবে। তাঁদের মারধর করারও হুমকি দিতো। এই ভয় দেখাতে সিম কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পনেরো হাজার টাকায় ব্যবহার করতে দিয়েছিল পঙ্কজ। এ কাজে তার সঙ্গী ছিল সৌরভ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সে-ও অনুরাগকে সিম কার্ড ও তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিয়েছিল।
এর পাশাপাশি অনুরাগ অবৈধ ভাবে কলসেন্টার খুলে বাজারের থেকে কম দামে আইফোন বিক্রি করার টোপ দিতো। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত অনুরাগ দু বছর ধরে এই কারবার চালাচ্ছিল। তিনটি কল সেন্টার খুলে সে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেন্ট্রাল নয়ডার এডিসিপি সাদ মিয়া খান জানান, তাঁরা খবর পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে ওই হোটেলের একটি ঘরে রয়েছেন। দিন কয়েক পর তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তাঁদের পাঠিয়ে টাকা দাবি করে। অভিযুক্ত দিন কয়েক আগে ওই হোটেলের একই রুম ভাড়া নিয়ে গোপনে ক্যামেরা লাগায়। তারপর তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে টাকা দাবি করতো। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।