Home Featured Cholesterol Symptoms: পায়ে নিতম্বে ব্যাথা হচ্ছে? এড়িয়ে চলবেন না, গোপনে শরীরে বাড়তে পারে বাজে কোলেস্টেরল!

Cholesterol Symptoms: পায়ে নিতম্বে ব্যাথা হচ্ছে? এড়িয়ে চলবেন না, গোপনে শরীরে বাড়তে পারে বাজে কোলেস্টেরল!

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্ক: এখন দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে কোলেস্টেরল কথাটা যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পান থেকে চুন খসলেই যেন শরীরে গুপ্তঘাতকের মতো বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। এর পিছনে দায়ী আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, তবে আরও অনেক কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। যা একসময় হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে সেগুলির পিছনে দায়ী শরীরে বাড়তে থাকা বাজে কোলেস্টেরল। কারণ শরীরে দুইপ্রজার কোলেস্টেরল থাকে। ‘এইচডিএল’ ও ‘এলডিএল’— এর মধ্যে প্রথমটি ভাল, দ্বিতীয়টি খারাপ। দেহে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিই কপালে ভাঁজ পড়ার কারণ। কিন্তু মুশকিল হল, দেহে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলেও, অধিকাংশই ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের পক্ষে তা বোঝা দুষ্কর। তাই সময় থাকতে উপসর্গগুলি চিনে নেওয়া জরুরি।

হয়তো জানেন না, হাত-পায়ের কিছু সমস্যাও হতে পারে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণ।
এমনকি পায়ের বিভিন্ন অংশের ব্যথাও এর প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, কোলেস্টেরলের সমস্যার একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে নিতম্ব ও পায়ের বিভিন্ন অংশের ব্যথা। বিশেষত যদি সেই ব্যথা হয় করে ঊরুর পেশিতে। তাঁদের দাবি, দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালিত হয় ধমনীর মধ্য দিয়ে। কিন্তু বাজে কোলেস্টেরল বাড়লে ধমনীগুলির ভিতর চর্বির আস্তরণ তৈরি হয় ফকে রক্ত এর স্বাভাবিক সঞ্চালন ব্যাহত হয়। একে ‘অ্যাথেরোস্কেরোসিস’ বলে। এতে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে তৈরি হয় ‘প্লাক’। ফলে রক্ত সরবরাহ ঠিকমতো হয় না। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলিতে তৈরি হওয়া এই সমস্যাকে বলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ’ বা ‘পিএডি’। এই অসুখেই ব্যথা হয় পায়ে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথাই এই কোলেস্টের বৃদ্ধির লক্ষন।
১. পায়ের একাধিক অংশে ব্যথা ও টান ধরার সমস্যা।
২. পায়ের পাতা, নিতম্ব ও উরুর পেশি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে।
৩. হাঁটতে গেলে পায়ে উরুতে ব্যথা।
৪. পা নীলচে হয়ে আসা
৫. ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া কিংবা দুই পায়ের পাতার তাপমাত্রার তারতম্য।
৬. অনুরূপ সমস্যা দেখা দিতে পারে হাতেও।

বিদ্র: এটি একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে লেখা। তাই এরম সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

You may also like