মহানগর ডেস্ক: হিজাব ও নামাবলি পরা নিয়ে দুপক্ষের ছাত্রদের মধ্যে গোলমালের জেরে হাওড়ার এক স্কুলে বন্ধ হয়ে গেল পরীক্ষা। হাওড়ার ধুলাগড়ের (A School Of Howrah) একটি স্কুলে একদল ছাত্রীকে ক্লাসরুমে হিজাব পরে অনুমতি দেওয়ার প্রতিবাদে আরেকদল নামাবলি পরে স্কুলে আসে (Hijab And Namabali Controversy)। তখনই শুরু হয় গোলমাল। উত্তেজিত ছাত্রীরা স্কুলে ভাঙচুরও চালায় (Ransacked)। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়া সামাল দিতে স্কুলে পুলিশ আসে। ডাকা হয় রাপিড অ্যাকশন ফোর্সকেও। ঘটনার জেরে স্কুল কর্তৃপক্ষ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে দেন। এদিকে স্কুলে হিজাব পরে আসাকে সমর্থন করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র জানান, হেলমেটের বদলে কোনও শিখ যদি পাগড়ি পরে, তাহলে সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গ হয় না। স্কুলে হিজাব পরে আসা নিয়ে আইনি অনুমোদন রয়েছে। কোনও মুসলিম ছাত্রী যদি স্কুলে হিজাব পরে আসে,তাহলে তাকে বাধা দেওয়া উচিত নয়। প্রতিবাদে কোনও ছাত্র যদি নামাবলি পরে আসে, তাহলেও বাধা দেওয়া সঙ্গত নয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে নেমেছে।
তাঁর মতে, কোনও মেয়ে স্কুলে হিজাব পরে এলে তাকে বাধা দেওয়া উচিত নয়। তেমনই কোনও ছাত্র যদি নামাবলি পরে আসে, তাকেও বাধা দেওয়া ঠিক নয়। যদি তার পেছনে কোনও রাজনীতি থাকে,তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার। অন্যদিকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পল জানিয়েছেন প্রতিটি স্কুলেরই পোশাক বিধি মেনে চলা উচিত। আদালতের তেমনই নির্দেশ রয়েছে। ঘটনার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এরপর থেকে ছাত্রীরা স্কুলের পোশাক পরে আসবে। স্কুলের এক ছাত্রী জানায় হিজাব পরা এক ছাত্রী ক্লাসরুমে কয়েকজন সহপাঠী নামাবলি পরে এলে প্রতিবাদ জানায়। তারপরই অন্যরা তাতে আপত্তি জানায়। একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী জানায় কয়েকজন হিন্দু ছাত্রী নামাবলি পরে আসায় এক মুসলিম ছাত্রী প্রতিবাদ জানায়। সে জানায় নামাবলি স্কুলের পোশাক নয়। পাল্টা ছাত্ররা জানায় কেন সে হিজাব পরে আছে। এরপর একদল ছাত্র ভাঙচুর চালায়। শিক্ষকেরা বাধা দিলে তাঁদের সরিয়ে দেয় ছাত্ররা। তারপরই স্কুলের চলতি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র জানায় পড়ুয়াদের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে আসায় হিন্দুরা ছাত্ররা জানায় পরীক্ষার সময় হিজাব পরে আসা চলবে না। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। প্রতিবাদ জানাতে কয়েকজন ছাত্র শিবের ছবি লাগানো পোশাক পরে আসে। তবে কোনও সম্পত্তি নষ্ট হয়নি বলে জানিয়েছেন স্কুলকর্তৃপক্ষ।