মহানগর ডেস্ক: চাপা উৎকণ্ঠা, রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার মধ্যেই কর্ণাটকে স্কুল-কলেজে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ (Hijab Ban Case Verdict) মামলায় রায় দিতে গিয়ে ভিন্নমত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের দুই বিচারপতির (Supreme Court)। দুই বিচারপতির একজন হেমন্ত গুপ্ত খারিজ (Dismissed By One Judge) করলেন আবেদন। আরেক বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া আবেদনকারীদের আর্জিকে মেনে নেন (Another Judge Allowed) । ফলে হিজাব নিষিদ্ধ মামলা সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ছবি সামনে এল না।
যদিও কর্ণাটকের মন্ত্রীর ভাষায়, হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়টি স্থগিত বৈধ। কারণ এ নিয়ে দুই বিচারপতি একমত হতে পারেননি। তবে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যেহেতু বিষয়টি নিয়ে বেঞ্চের দুই বিচারপতির মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে, তাই মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। সেখানে তিন বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটির ব্যাপারে চূড়ান্ত ফয়সলা হবে। বিচারপতি ধুলিয়া এদিন জানান, এটা পুরোপুরি পছন্দের ব্যাপার, তাছাড়া কিছু নয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল একটি শিশুকন্যার পড়াশোনা। বিচারপতি গুপ্তা জানান, তবে এনিয়ে ভিন্নমতও থাকতে পারে। আবেদন খারিজ করতে গিয়ে তাঁর রায়ে এগারোটি প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি জানিয়ে দেন কর্ণাটক হাই কোর্টের রায়ের সঙ্গে তিনি একমত। এর আগে হিজাব পরা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা কর্ণাটক সরকার জারি করেছে, তা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হয়নি হাইকোর্ট। আবেদন খারিজ করার সময় বেশ কিছু প্রশ্ন ও উত্তরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। আদালতের ওয়েবসাইট বার অ্যান্ড বেঞ্চের মতে, ওই প্রশ্নগুলির মধ্যে ছিল সরকারের নির্দেশ ছাত্রীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে কিনা, হিজাব পরা ইসলাম ধর্মে আবশ্যক কিনা। বিচারপতি জানান এসবের উত্তর আবেদনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। এ কারণে তিনি আবেদন খারিজ করে দিচ্ছেন।