মহানগর ডেস্ক: কর্ণাটক পেরিয়ে হিজাব বিতর্কের (Hijab controversy In Bihar) ঢেউ এসে পৌঁছল নীতীশকুমারের বিহারেও। মুজফ্ফরপুরের একটি কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন দুজন মুসলিম ছাত্রীকে জোর করে হিজাব (Forcefully Take Of Hijab) খুলে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে এমডিডিএম কলেছে। ছাত্রীদের অভিযোগ, তারা ব্লু টুথ ( Blue Tooth) লুকিয়ে রেখেছে কিনা, পরীক্ষা চলাকালীন তা দেখার জন্য তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বলা হয়। তারা যখন হিজাব খুলতে রাজি না হয়,তাদের পরীক্ষার হল ছেড়ে যেতে বলা হয়।
এক ছাত্রী জানায় তারা ক্লাসরুমে পরীক্ষার উত্তর লিখছিল। সেসময় শিক্ষক তাদের হিজাব খুলতে বলেন। তারা ব্লু টুথ লুকিয়ে রেখেছে কিনা, তা জানার জন্যই হিজাব খুলতে বলা হচ্ছে বলে তাদের জানানো হয়। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন শিক্ষক। যদিও জোর করে হিজাব খোলার অভিযোগ মানতে চাননি স্কুলকর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, এটা রুটিন চেক আপ। কিন্তু ছাত্রীরা সেসব উড়িয়ে দিয়ে ব্যাপারকে সাম্প্রদায়িক রং দিতে চাইছে।
কলেজের প্রিন্সিপাল জানান, তিনি লক্ষ্য করেছেন ব্লু টুথ লুকিয়ে রেখেছে কিনা, সেজন্য হিজাব খুলতে বলায় ছাত্রীরা প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিল। ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে ক্লাসরুমে ঢোকার আগে তাদের বাইরে রেখে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সময় শিক্ষক যখন ব্লু টুথ লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য হিজাব খুলতে বলায় ছাত্রীরা প্রচণ্ড রেগে ওঠে। প্রিন্সিপাল আরও জানান যেসব ছাত্রী লিখতে পারবে না বলে জানানোর পর তাদের কান পর্যন্ত পরীক্ষা করতে দেয়নি। তারপরই ধর্মীয় ইস্যু করে তোলার চেষ্টা করে তারা। তিনি বলেন, কলেজে ধর্মের ব্যাপারে কোনও বৈষম্য দেখানোর প্রশ্ন ওঠে না। সম্ভবত কেউ কেউ তাদের ধর্মের নামে প্ররোচনা দিয়েছে। তবে দুঃখের ব্যাপার একাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা এমন ব্যবহার করছে। তাঁর ধারণা হিজাব ও ধর্মের নামে তাদের কোনওভাবে উস্কে দেওয়া হয়েছে।