মহানগর ডেস্কঃ সদ্য দুর্গাপুজোর মরশুম শেষ হয়েছে। এই পুজোতেই এপার বাংলায় উপহার হিসেবে ইলিশ মাছ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। তবে যে পরিমানে ইলিশ মাছ আসার কথা ছিল তার তুলনায় ৭৬০ টন ইলিশ কম এসেছে বলে খবর। মাছ আমদানির জন্য সময় পাওয়া গিয়েছিল মাত্র এক মাস। এখনও পর্যন্ত ওপার বাংলা থেকে মোট ইলিশ আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৬৯০ টন। ফলত বাংলার বাজারে ওপার বাংলার ইলিশ অমিল। আর রসনাপ্রেমী বাঙালিরও বাংলাদেশী ইলিশের জন্য হাপিত্যেশের শেষ নেই। তবে প্রতিবেশী দেশে ঠিক এর বিপরীত ছবি।
বাংলাদেশের ইলিশ প্রেমীদের চোখেমুখে উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই। সেই দেশের নদী সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। বাংলাদেশের সমুদ্র ও নদীগুলোতে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য শিকার, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময়ের উপর ৭-২৯ অক্টোবর, মোট ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠতে না উঠতেই বিগত সপ্তাহের শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জেলেরা নেমে পড়েছেন নদীতে। ইলিশ মাছের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের ক্যারিশ্মায়। একইসঙ্গে বাজারে ক্রেতাদের হাতেও আসছে ইলিশ মাছ। হ্যাঁ, দাম কিছুটা চড়া বটে। কিন্তু তাতে কী? ইলিশ মাছই তো। তাই দামের তোয়াক্কা না করেই ইলিশ কিনছে ওপার বাংলার ইলিশপ্রেমীরা। একই ছবি বাংলাদেশের রাজধানী শহরের বাজারেও।
বাংলাদেশের কক্সবাজার একসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মৎস্য আহরণ কেন্দ্র হলেও বর্তমানে বরিশাল, খুলনা, পাটুয়াখালিও সেই তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের চারটি ইলিশ প্রজনন কেন্দ্র আছে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওড়িশার বালেশ্বর নদীতে ইলিশের ব্যাপক প্রজননের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি এই বালেশ্বরকে ইলিশের প্রজননের জন্য নতুন একটি সংরক্ষিত কেন্দ্র ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোও হয়েছে।
বাংলাদেশের ইলিশের উৎপাদন বাড়তেই আশার আলো দেখছেন এদেশের ইলিশ প্রেমীরা। আসছে শীতে ফের পশ্চিমবঙ্গের বাজারেও ছেয়ে যাবে ইলিশ নাছ, এমন স্বপ্নই দেখছেন এদেশের খাদ্য রসিকরা।