মহানগর ডেস্ক: পুরনো জোটসঙ্গী বিজেপির (BJP) হাত ধরতে চলেছেন নীতীশকুমার (Nitish Kumar)। তিনি গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। নীতীশকুমারের সঙ্গে তাঁর নরমে গরমে সম্পর্কের মধ্যে এমনই ইঙ্গিত দিলেন ভোটকুশলী প্রশান্তকিশোর (Hint By Prashant Kishore) । তাঁর দাবি,জেডিইউ সাংসদ ও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন হরিবংশের মাধ্যমে নীতীশকুমার গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। যদিও তাঁর এই দাবিকে বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে জেডিইউ (Dismiss By JDU)। হরিবংশও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। জেডিইউ-ও সাফ জানিয়েছে তারা কখনওই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে না।
তবে তাতে দমে না গিয়ে পিকের দাবি, মানুষ ভাবছে নীতীশকুমার বিজেপির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে জোট গড়তে উঠে পড়ে লেগেছে। আসলে ঘটনাটা কিন্তু একেবারেই উল্টো। মানুষ এটা জেনে অবাক হবে যে নীতীশকুমার বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। একধাপ এগিয়ে ভোটকুশলীর খোঁচা এ কারণে বিজেপির সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর এখনও জেডিইউ হরিবংশকে রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেনি। মানুষ যেন এটা মাথায় রাখে যখনই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে,তখনই নীতীশকুমার বিজেপির হাত ধরবেন এবং তাঁর কাজ শুরু করে দেবেন। তবে পিকে দাবি পুরোপুরি খারিজ করে জেডিইউয়ের মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেছেন, নীতীশকুমার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন তিনি আবার কখনও বিজেপির সঙ্গে জোটে যাবেন না। নীতীশকুমার পঞ্চাশ বছর রাজনীতি করছেন আর প্রশান্তকিশোর মাত্র ছ মাস রাজনীতি করছেন। সংশয় ছড়াতেই তিনি এমন বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করছেন।
বর্তমানে বিহারে পদযাত্রা করছেন প্রশান্তকিশোর। যা তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে নতুন করে যোগ দেওয়ার প্রারম্ভিক সূচনা বলেই মনে করা হচ্ছে। গত দোসরা অক্টোবর থেকে তাঁর পদযাত্রা পশ্চিম চম্পারণের বেতিহাওরোয়ার গান্ধী আশ্রম থেকে শুরু হয়েছে। এক বছর ধরে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পদযাত্রা চলবে। বিহারে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সে রাজ্যের মানুষের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যেই এই পদযাত্রা বলে পিকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। এর আগে তিনি জেডিইউয়ে আঠেরো মাস ছিলেন। বিজেপির বিতর্কিত পদক্ষেপ সিএএকে সমর্থন করায় নীতীশকুমারের সমালোচনা করার জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।