মহানগর ডেস্ক: শীতকাল মানে রবিঠাকুরের সেই ঘাসের উপর একটু শিশির বিন্দু। সঙ্গে বাঙালির কাছে শীতকাল মানে রকমারি সবজির পাহাড়। বেশ কিছুটা সস্তায় শরীরে পুষ্টি বাড়িয়ে নেওয়ার মক্ষম সুযোগ। মাঝে ভ্যাপসা গরম ও বৃষ্টির স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় কাটিয়ে একটু কম্বলের উষ্ণতায় নিজেকে সেঁকে নেওয়া। কিন্তু এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টাতে বাড়ি বাড়ি লেগে থাকে সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার ধুম। নানা ডাক্তার বদ্যি দেখিয়ে, নামিদামি ওষুধ খেয়েও কিছুতেই কিছু কাজ হয় না। এবার সেই সমস্যার সমাধান করতে আজ নিয়ে এসেছি মা ঠাকুমাদের আঙ্গুলের একটি ঘরোয়া পানীয় টোটকা। যা একেবারে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে সর্দি কাশি কিংবা গলা ব্যথা। তাহলে চুলন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপকরণের সাহায্যে কেমন ভাবে তৈরি করতে হবে পানীয়টি।
উপকরন: একটি বড় আকারের পান, দুটি শুকনো লঙ্কা, নুন, গরম জল।
পানীয় তৈরির পদ্ধতি:
১. প্রথমে পান নিয়ে তার উপর দুটো শুকনো লঙ্কা (দানা ছাড়ানো) রেখে তাতে একটু নুন দিতে হবে।
২. এরপর পানটাকে খিলি আকারে করে একটি ফয়েল পেপারে সেটি মুড়িয়ে নিন।
৩. এবার একটি চুলা বা গ্যাস মিডিয়াম থেকে লো ফ্লেমে রেখে তার উপর একটি ঢাকনা যুক্ত শুকনো পাত্র গরম করে নিন।
৪. ওই একই উষ্ণতায় ওই পাত্রের মধ্যে এই মোড়কটা দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট ধরে দুপিঠ ভালো ভাবে গরম করে নিন।
৫. এবার একটু ঠাণ্ডা করে পানের খিলি থেকে ফয়েলের মোড়কটি খুলে নিতে হবে।
৬. এবার ভেপে ওঠা ওই পানের খিলিটিকে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিন।
৭. এরপর ওই টুকরোগুলি কোন প্রেসারে (শিল, মেশিন, হামোলদিস্টা) থেঁতো করে নিতে হবে।
৮. এবার ওই মিশ্রণটি একটি পাত্রে দিয়ে তার মধ্যে ফুটন্ত জল ঢেলে দিন।
৯. এবার একটু চামচ দিয়ে ভালো করে জলের মধ্যে ওই মিশ্রণটিকে মিশিয়ে নিন।
১০. এরপর ৫ মিনিট ওই মিশ্রণ যুক্ত পানীয়টিকে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। কারণ জলের সাথে মিশ্রণটি সম্পৃক্ত হতে দিতে হবে।
১১. এবার পানীয়টিকে পানের উপযুক্ত করতে ছেঁকে নিতে হবে।
১২. শীতকালে সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এবার এই পানিও দিনে দুবার চায়ের মতো পান করুন। তাহলে নিমিষে উধাও গলা ব্যথা থেকে সর্দি কাশি।
৫ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করা এই পানীয় খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। তবে এর কিছু নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
Disclaimer:
১. যারা ঝাল খেতে পারেন না (বিশেষত শিশু) তারা এড়িয়ে চলুন পানীয়টি।
২. যাদের হজম কিংবা এসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তারাও এই পানীয়টি গ্রহণ করবেন না।
৩. অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।