মহানগর ডেস্ক: প্রথমে ব্যবসায়িক কথাবার্তা। তারপর ধীরে ধীরে শিকারের দিকে এগোনো। এবং তা সফল করতে হানি ট্র্যাপ। ব্যবসায়ীকে মধুচক্রের (Honey Trap) ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে হুমকি। ধর্ষণের হুমকি দিয়ে আদায় করা হল (Extorted Money) আশি লক্ষ টাকা। যদিও আশি লক্ষ টাকা হাতিয়ে অবশ্য শেষরক্ষা হল না দিল্লির ইউটিউবার দম্পতির। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ইউটিউবার দম্পতির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর বাড়ি গুরুগ্রামের বাদশাপুরে। তিনি একটি বিজ্ঞাপন এজেন্সি চালান। মাস কয়েক আগে এক হোটেলে নামরা কাদির নামে দিল্লির শালিমার বাগের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে ব্যবসায়িক কারণে তাঁর যোগাযোগ হয়। কাদিরের সঙ্গে ছিল বিরাট ওরফে মণীশ বেনিওয়াল নামে একজন।
ব্যবসায়িক কারণে ওই ব্যবসায়ী নামরাকে আড়াই লক্ষ টাকা দেন। তবে ওই টাকার বিনিময়ে কী কাজ পাওয়া যাবে জানতে চাইলে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরপর পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর নামরার সঙ্গে ওই ব্যবসায়ী রাত কাটান এবং দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি আড়াল থেকে রেকর্ড করে বিকাশ। পরে ওই ছবি দেখিয়ে তারা ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে। এর কিছুদিন পরে নামরা হুমকি দেয় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হবে। এবং ধর্ষণের হুমকি দিয়ে আশি লক্ষ টাকা জোর করে নিয়ে নেয় নামরা ও বিকাশ। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে পুলিশ নোটিস জারি করে। তারা অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য গুরুগ্রামের আদালতে আবেদন জানালে আদালত তা খারিজ করে দেয়। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ওই ইউটিউবার দম্পতির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।