মহানগর ডেস্ক: আজগুবি কাণ্ডই ( Bizarre) বটে। যা শুনলে সুকুমার রায়ের আজগুবি ছড়ার কথা মনে আসতে পারে। তাইওয়ানের (Taiwan) বাসিন্দা বৃদ্ধার বয়েস একানব্বই। এ বয়েসে মানুষ যেমন হয়, তেমনই আছেন তিনি। কিন্তু তাঁর একটা হাত নিয়েই শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের মাথা ব্যথা। আজগুবি গল্পের মতোই ওই হাতে গজাতে শুরু করেছে শিং (Horn in Hand)। যা সাত সেন্টিমিটার লম্বা, চওড়ায় চার সেন্টিমিটার। ফেসবুকে এমন চোখ ছানাবড়া করে দেওয়ার মতো খবর দিয়েছেন এক চিকিৎসক। তিনিই ওই একানব্বই বছরের বৃদ্ধার চিকিৎসা করছেন। বৃদ্ধার নাম অবশ্য জানাননি চিকিৎসক। থাকেন চাঙ্ঘুয়ায়।
হাতে শিং গজানোর জন্য চিকিৎসা হচ্ছে জিউচুয়ান হাসপাতালে। চিকিৎসক ওয়াং হন ফিন জানিয়েছেন এটাকে কুটানেওয়াস হর্ন বলা হয়। এটি একটি চামড়া থেকে কনিকল প্রোজেকশন, যা কেরাটিন থেকে তৈরি হয়ে থাকে। ফেসবুকে পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যখন ওই বৃদ্ধা তাঁর ক্লিনিকে আসেন, বৃদ্ধার হাতটি ব্যান্ডেজে বাঁধা ছিল। যদিও সেই ব্যান্ডেজ থেকে শিংটি বেরিয়ে এসেছিল। তরুণ চিকিৎসকরা, যাঁরা ক্লিনিকে ছিলেন, তাঁরা রীতিমতো চমকে যান। তবে ওয়াংকে যেটা অবাক করেছে, সেটা হল শিংটা সেই রূপকথার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। চিকিৎসকের পোস্টটি ইংরেজিতে অনুবাদ করলে এরকম দাঁড়ায় তাইওয়ানে এরকম কিছুর বাড়বাড়ন্ত দেখলে সেখানকার মানুষ শয়তান ও জাদুগল্পের সঙ্গে তুলনা টানে।
হাসপাতালে মেডিকেল টিম কিছু পরীক্ষা করে দেখেছ ওই মহিলার কোনও যৌন সংক্রান্ত সংক্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। তিনি কোনও ওষুধও খান না। বৃদ্ধাকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হলেও ওয়াংয়ের নিজস্ব মত এই চিকিৎসায় ওষুধই সব থেকে ভালো কাজ দেবে। সে কথা তিনি তাঁর পরিবারকেও জানিয়েছেন। এর আগে চিনে এধরণের একটি খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে একজনের পুরুষাঙ্গে দু ইঞ্চি শিং গজানোর খবর জানা গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কুটানেওয়াস শিংগুলি সাধারণত যৌন সংক্রমণে তৈরি হয়। এছাড়া খারাপ স্বাস্থ্যের পরিবেশ থেকেও এই সিং গজাতে পারে।