মহানগর ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী উপাচার্যের নাম ঘোষনা করেছেন রাজ্যপাল। দীর্ঘ দিন ধরে চলছে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাত। পরপর তিনটি টুইট করেছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি বিধানসভায় পেশ হয়েছিল রাজ্য সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ। মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিষয়। সেই বিষয় বিল পাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সেই বিলে স্বাক্ষর করেনি রাজ্যপাল। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের স্বাক্ষর ছাড়া সেই বিলটি আইনে রূপান্তরিত হবে না। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেছেন কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ টুইট করে জানিয়েছেন, ‘বিধানসভার ভোটাভুটিতে নির্বাচিত বিধায়কেরা মাননীয় রাজ্যপালের পরিবর্তে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছে। এখন প্রাক্তন আচার্যের পক্ষে কোনও মতেই ভাইস চ্যান্সেলর এর নাম ঘোষণা করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক’। এখানেই থেমে থাকেননি কুনাল ঘোষ। দ্বিতীয় আরও একটি টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা আরও একটি অর্থহীন। যখন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী নিজেই বিষয়টি পরীক্ষা করার ঘোষণা করে দিয়েছিলেন’।
Reply to @jdhankhar1 – 1/2: Elected MLAs of WB passed a bill replacing Hon'ble Governor with Hon'ble CM as Chancellor of State aided Universities at the Assembly – now it is completely unethical and undemocratic for the 'former Chancellor' to announce name of any VC. (More..)
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 2, 2022
Reply to @jdhankhar1 2/2 It is furthermore futile to release a press statement now, when the State Education Minister himself announced to examine the matter.
& what about joint PC by GUV & our delegation? GUV is spreading confusion unilaterally.
Need a matured, impartial GUV.— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 2, 2022
যদিও কুনাল ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি জানিয়েছেন, পদাধিকার বলে এখনও ওই বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল। তিনি আরও লিখেছেন, আচার্য হিসেবে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে নিয়োগ করলেন। ১৯৮১ সালের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে (১) (বি) ধারা মেনে। এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘রাজ্যপাল তথা আচার্যের পদাধিকার বলে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তিনি যে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন সেই নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্ররা প্রকাশ্যে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা দুর্ভাগ্যজনক’।