মহানগর ডেস্কঃ এবার হাওড়ার মন্দিরতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা এবং বিপুল সোনার গয়না। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মন্দিরতলার কইপুকুর লেনে। কলকাতা গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাংক ফ্রড টিমের অফিসার এবং হাওড়া শিবপুর থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে রবিবার রাতে ওই ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, এই আবাসনটি হাওড়ার শৈলেশ পান্ডে এবং তাঁর ভাই রোহিত পান্ডের। এই অভিযানে ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই শৈলেশ পাণ্ডে একাধিক ব্যক্তিকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। এর আগে ওই ব্যক্তির নামে থাকা হাওড়ার শিবপুরে ‘রিভার ডেল’ নামক একটি আবাসনে গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ২ কোটি ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। উদ্ধার হয়েছে সোনা-রুপো ও হিরের গয়না।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন আগে কানাড়া ব্যংকের তরফে লালবাজারে একটি অভিযোগ করা হয় ওই ব্যক্তির নামে। জানানো হয়েছিল ওই ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ টাকা ট্রানজাকশন হচ্ছিল। এরপর লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড টিমের সদস্যরা তদন্ত শুরু করেন। ফ্রিজ করে দেওয়া হয় ওই অ্যাকাউন্টটিকে। এরপরই ওই ব্যাঙ্কের তরফে ব্যংকের তরফে মামলা দায়ের করা হয় শৈলেশের নামে। সেই মামলার সুত্রেই অভিযান চালিয়ে এই বিপুল টাকা, সোনা ও হীরে উদ্ধার করা হয়।
রাজ্য জুড়ে কেবলই ইতিউতি কোটি কোটি টাকা আর সোনার গয়নার হদিশ। যে রাজ্যে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিনই প্রায় চাকরিহীন হয়ে বেকারত্বের জ্বালায় ভুগছেন, সেখানে এক দলের হাতে এত এত বেআইনি টাকা আসছে কীভাবে? সে নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।