মহানগর ডেস্ক: বিহারের (Bihar) সমস্তিপুরের এক দম্পতির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে তাঁদের ছেলের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়ানোর জন্য ভিক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। দম্পতির দাবি, হাসপাতালের একজন কর্মচারী তাঁদের ছেলের মৃতদেহ ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে, বেশ কয়েকদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছিল না ওই বৃদ্ধ দম্পতির ছেলেকে। তারপর হাসপাতাল থেকে খবর আসে, তাঁদের সন্তান আর বেঁচে নেই। কিন্তু তাঁর দেহ ফেরত পেতে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। এদিন সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)।
Faith in humanity dies a little every single day. This is depressing to the core, are these hospitals even ashamed of themselves? I urge Hon. CM @NitishKumar ji to take strict action against the hospital. https://t.co/zjzln4cdIR
— Priyanka Chaturvedi🇮🇳 (@priyankac19) June 9, 2022
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই টুইটারে তা নিয়ে মন্তব্য করেন পিকে। লেখেন, “মানবতা লজ্জিত তবুও নীতীশ কুমারের সুশাসনের দাবি অক্ষত!!”এমনকি খবরটি পেতে শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী নীতীশ কুমারকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ঘটনাটি হতাশাজনক। তাঁর কথায়, ‘মানবতার প্রতি বিশ্বাস প্রতিদিন অল্প অল্প করে মরে যাচ্ছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত হতাশাজনক। হাসপাতাল গুলির নিজের কাজের জন্য লজ্জা হওয়া উচিৎ! মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারজিকে অনুরোধ করব, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক’।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্য সরকারগুলোর উচিত পেট্রোপণ্যের ওপর VAT কমানো’, বার্তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের
অন্যদিকে নিহতের বাবা মহেশ ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘ছেলে কিছুদিন আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। তারপর হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসে। জানতে পারি, ছেলে আর বেঁচে নেই। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ ফিরিয়ে আনতে গেলে ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে বলে, জানায়। বাধ্য হয়ে ভিক্ষার রাস্তা বেছে নিয়েছি’।
এএনআই সূত্রে, সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জেন ডক্টর এসকে চৌধুরী এই ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে দম্পতির অভিযোগ ভুল। কোনও কর্মচারী দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। এদিনের এই ঘটনার জন্য বিরোধীরা আঙুল তুলেছে নীতীশ কুমারের সরকারের দিকে।