মহানগর ডেস্ক: কপালে মৃত্যু থাকলে কে খণ্ডাবে! মধ্যপ্রদেশে কেন স্বামী মাংস রান্না করেছেন,এনিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝামেলা শুরু হয় (Altercation Took Place)। বহু হিন্দুই মঙ্গলবারকে শুভ বলে মানেন। সেদিন আমিষ, বিশেষ করে মাংস খান না। কিন্তু ভোপালের বাসিন্দা পাপ্পু আইরওয়ার স্ত্রীর অমতে মঙ্গলবার বাড়িতে মাংস রান্না করেন। তাই নিয়ে মঙ্গলবারে মাংস রান্না নিয়ে পাপ্পুর সঙ্গে স্ত্রীর ঝামেলা বাধে। প্রথমে তর্কাতর্কি, তারপর ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশি বিল্লু। ঝামেলা থামিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। এদিকে ঝামেলা মেটার পর পাপ্পু বিল্লুর বাড়িতে যায়। তাঁকে বেদম মারধর করে।
মারের চোটে মারা যান বিল্লু (Husband Killed Neighbour)। এরপরই পাপ্পুর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় এলাকায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায়। অন্যদিকে গত আগস্ট মাসে খাবার পরিবেশন নিয়ে গোলমালের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। সূর্যনগর কলোনির বাসিন্দা ৫৯ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দীপক খিরবত ঝামেলার জেরে স্ত্রী পুনম অরোরাকে গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেন। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত দীপক খিরবতকে গ্রেফতার করে। যদিও অভিযুক্ত পুলিশকে জানান তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় বিছানায় পড়ে আছেন পুনম। তাঁর গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া। পরে মৃতের মেয়ে বাড়িতে পৌঁছন। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে মেয়ে জানান তাঁর মা মানসিক অসুখ থেকে সম্প্রতি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি তাঁর মেয়েকে প্রায়ই অভিযোগ করতেন তাঁদের বাড়ির ভাড়াটেরা তাঁকে খুন করতে পারেন। মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভাড়াটেদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তদন্তে নেমে স্বামীকে জেরা করে জানতে পারে খাবার পরিবেশন নিয়ে ঝামেলার জেরে তিনি তাঁর মানসিকভাবে অসুস্থ স্ত্রীকে খুন করেছেন। তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।