মহানগর ডেস্ক: আজ রবিবার আর্থিক তছরূপের মামলায় সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছায় ইডি আধিকারিকরা। শিবসেনা নেতা টুইট করে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত মিথ্যা প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে।
রাউত দু’বার ইডির সমনে সাড়া না দিলে আজ রাজ্যসভার সাংসদের বাড়িতে পৌঁছান তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ মিস্টার রাউতের নাম জড়িয়েছে অর্থ পাচারের মামলায়। যদিওবা তিনি জানিয়েছেন, কোনও অন্যায় কাজ তিনি করেননি। অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গে রাউত বলেছেন, “কোনও কেলেঙ্কারির সঙ্গে আমি জড়িত নই। শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের শপথ নিয়ে এই কথা আমি বলছি। বালাসাহেবজি আমাদের লড়াই করতে শিখিয়েছেন। আমি শিবসেনার হয়ে লড়াই চালিয়ে যাব”। মারাঠি ভাষায় তিনি টুইট করে লিখেছেন, “মিথ্যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমি শিব সেনা ছাড়ব না। মরলেও আত্মসমর্পণ করব না। জয় মহারাষ্ট্র’। এদিকে বিজেপি বিধায়ক রাম কদম প্রশ্ন করেছেন, “কেন সেনা নেতা ইডির পাঠানো সমনে সাড়া দেন নি?” তাঁর দাবি, “নির্দোষ হলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ভয় পান কেন সঞ্জয় রাউত? সংবাদ সম্মেলনের জন্য তাঁর কাছে সময় রয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংস্থার অফিসে যাওয়ার সময় নেই”।
মূলত ১ জুলাই জেরা করা হয়েছিল সেনা নেতাকে। পরবর্তীতে তাঁকে ২০ জুলাই আবার হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি চলমান সংসদ অধিবেশনের অজুহাত দেখিয়ে তা এড়িয়ে যান। এরপর তাঁকে আবার ২৭ জুলাই হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে তিনি হাজির হননি। শিণ্ডের বিদ্রোহের পর বড়সড় বদল ঘটেছে মারাঠা রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্রে হাই ভোল্টেজ রাজনৈতিক ড্রামার মাঝখানে ২৮ জুন তলব করা হয়েছিল সঞ্জয় রাউতকে। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘মহারাষ্ট্রে বড় রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। আমরা বালা সাহেবের শিব সৈনিকরা একটা বড় যুদ্ধ লড়ছি। এটা আমাকে থামানোর ষড়যন্ত্র। আমার মুন্ডচ্ছেদ করলেও আমি গুয়াহাটির পথে হাঁটবো না। তাতে আমাকে গ্রেফতার করলেও, করতে পারেন।