Home Uncategorized T20 WC 2022: কোহলি-সূর্যই বড় স্বস্তি, কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেথ ওভার বোলিং! কতটা প্রস্তুত ভারত

T20 WC 2022: কোহলি-সূর্যই বড় স্বস্তি, কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেথ ওভার বোলিং! কতটা প্রস্তুত ভারত

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্ক: দীর্ঘ ৯ বছর ধরে খরা চলছে আইসিসি-র ২২ গজে। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি-র ট্রফি অধরাই রয়েছে ভারতের। কপাল পুড়েছে ২০২১ এ। কারণ গত বছর বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছে ভারতকে। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর দুই ম্যাচ হেরে মুখ থুবড়ে পড়ে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে একেবারে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাদের। তবে দু’টি বড় টুর্নামেন্টে ভরাডুবির পরেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে চোখধাঁধানো পারফরমেন্স বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি হিসাবে বেছে নিয়েছে ভারতকে।

প্রসঙ্গত ২০১৩ এর পর ২০১৫-র বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হেরে যায় ভারত। ২০১৬ তেও শেষ চারে বিদায় নিতে হয়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেও মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে। একের পর এক ঘা না শুকাতে শুকাতেই তাতে নুনের ছিটে পরে যায় গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ট্রফি ছোঁয়াত দূর, গ্রুপ পর্ব থেকেই টাটা বাই বাই বলতে হয়েছে।

তবে এ বার করায় গন্ডায় হিসেব বুঝে নিতে চায় ভারতীয় দল। তাদের প্রধান শক্তি ব্যাটিংকে ভড় করে বিধ্বংসী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে তারা। তবে বোলারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স চিন্তায় ফেলেছে বোলিং নিয়ে। জসপ্রীত বুমরাহের অনুপস্থিতিতে বোলিং নিয়ে বেশ খানিকটা দুর্বল তারা। যার ফলে হরির লুটের মতো রান বিলোচ্ছেন দল। পাশাপাশি ডেথ ওভারে ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে কাবু করে ফেলছে বিপক্ষের ব্যাটাররা। দু’শোর উপরেও রান তুলে জিততে পারছে না টিম ইন্ডিয়া। পাশাপাশি ফিল্ডিং নিয়েও সম্প্রতি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই বোলিংকে কেন্দ্র করে ভারতের কাছে আবারও বিশ্বকাপ জেতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ঠিক কোথায় আছে ভারতীয় দলের অবস্থন। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাদের শক্তি ও দুর্বলতা।

টিম ইন্ডিয়ার সবলতা:
১) ভারতের প্রধান শক্তি ব্যাটিং অর্ডার। বিশেষত টপ এবং মিডল অর্ডার। পাওয়ারপ্লের সর্বোচ্চ সঠিক ব্যবহারের উপর ভর করেই গত টি-টোয়েন্টির মতো এবারের বিশ্বকাপে মাস্টার স্ট্রোক হিসাবে ব্যাবহার করবে।
২) আত্মবিশ্বাসি হয়েছেন কোহলি। তিনি যে ফুল ফর্মে আছেন তার প্রমাণ এশিয়া কাপে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শত রান। সেই সঙ্গে ফর্মে ফিরেছেন কেএল রাহুলও।
৩) গত এক বছরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন সূর্যকুমার যাদব ও রোহিত শর্মা। এখনও পর্যন্ত তারা বিশ্বের মধ্যে যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সেইসঙ্গে সূর্য এখনও টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের ২ নম্বর ব্যাটার।
৪) ডেথ ওভার নিয়েও হার্দিক পান্ডেও রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। স্কোয়াডে ফিনিশার হিসেবে কার্তিকও কিছু কম যায় না। সব মিলিয়ে ভারতীয় ব্যাটররা একেবারে প্রস্তুত।

৫) গত এক বছরে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার। যিনি বিশ্ব ক্রিকেটে এই একটা বছরে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার দিক থেকে চুতর্থ স্থানে। পাওয়ার প্লে-তে ভুবির বলও আক্রমণ শানাতে যথেষ্ট। পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ ওভার বল করেছেন, ভারতপক্ষে এমন বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
৬) আবার বুমরাহ ছিটকে যাওয়ায় তার শূন্যস্থান পূরণ করতে নেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ শামিকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে শামির বিধ্বংসী বোলিংও সবার চোখে পড়েছে। স্পিনার সহ ছন্দে রয়েছেন বাঁ-হাতি পেসার অর্শদীপ সিংও।

তবে এত শক্তিশালী টিম থাকার পরও টিম ইন্ডিয়ার কিছু দুর্বলতাও রয়েছে, যা চিন্তা বাড়াচ্ছে।
১) প্রথম হল ভারতের বোলিং। বিশেষ করে ডেথ ওভার বোলিং। গত কয়েক বছরে যা ভারতের ব্যর্থতার প্রধান কারন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গুচ্ছের প্রমাণও রয়েছে তার। টেস্ট খেলিয়ে দলগুলোর মধ্যে সম্প্রতি ডেথ ওভারে ভারতের রান রেট ছিল সর্বোচ্চ – ১০.৪।
২) ভারতের তারকা বোলার জসপ্রীত বুমরাহের দল থেকে ছিটকে যাওয়া। ভারতীয় বোলিং এর দুর্বলতাকে সামাল দিতে সে জায়গায় মহম্মদ শামিকে নেওয়া হলেও ২০২১ বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি বাংলার পেসার।
৩) ভুবনেশ্বর কুমারের পারফর‌ম্যান্স ভালো থাকলেও তার ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। ডেথ ওভারে রীতিমতো হতাশ করেছেন ভুবি। প্রচুর রান বিলোচ্ছেন হার্ষাল প্যাটেলও।
৪) অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে দূরদর্শিতা দেখিয়েছে রোহিত শর্মা। কিন্তু দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ ব্যাপার হচ্ছে না তার কাছে।
৫) ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে। কারন ১০-১৫ রান ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।
৬) সবশেষে গত ৯ বছর ধরে আইসিসি টুর্নামেন্ট পরাজিত দলের তকমা লাগিয়ে ঘুরছে ভারত। সেই তকমা গায় থেকে মুছতে পারবেন কি না সেই কনফিডেন্স দেখানো নিয়ে সংশয়ে ভুগতে পারে রোহিতরা।

You may also like