মহানগর ডেস্ক: ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে NDA প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সমর্থন করবে শিবসেনা (Shivsena)। মঙ্গলবার সাংসদদের দাবি মেনে নিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। দলের ২২ জন সাংসদের মধ্যে ১৬ জন মি. ঠাকেরেকে সমর্থন করার কথা বলার একদিন পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন মহিলা।
প্রথমে বিজেপির সমর্থনে ঠাকরেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেছেন একনাথ শিণ্ডে। এখন মহারাষ্ট্রের ‘নাথ’ একনাথ। এর মাঝে সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। তিনি নির্বাচিত হলে ভারতের প্রথম উপজাতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হবেন। এমনিতে এই আদিবাসী সংক্রান্ত ইস্যু মহারাষ্ট্রে বড় রাজনৈতিক ফ্যাক্টর। যেখানে জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশই তপশীলি উপজাতি। তবে অন্যদিক থেকে দেখলে, দিন দিন দলের উপর থেকে কন্ট্রোল হারাচ্ছেন উদ্ধব। ক্রমশ সমস্ত কিছু তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : কোনও উত্তরবঙ্গ, কোনও দক্ষিণবঙ্গ নয়, সকলের একটাই বঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ: অভিষেক
সোমবার দলীয় সাংসদদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে মহারাষ্ট্রের জনজাতি গোষ্ঠীর সমর্থনের দিকে তাকিয়ে এনডিএ প্রার্থীর হয়ে সাংসদরা সাওয়াল করেছিলেন। এদিন ঠাকরে বলেছেন যে, ‘সিদ্ধান্তটি স্বাধীনভাবে নেওয়া হয়েছে। কোনও চাপের মধ্যে পরে নয়। মুর্মুকে সমর্থন করার জন্য কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। রাষ্ট্রপতি প্রার্থীদের বিষয়ে আগেও স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আমাদের বিধায়ক সহ সম্প্রদায়ের কিছু আদিবাসী নেতারা আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং অনুরোধ করেছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে, আমার তাঁকে সমর্থন করা একদমই উচিত হয়নি। তবে আমার চিন্তাধারা অতো ছোটো নয়’।
প্রসঙ্গে আগেই সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন যে, দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার অর্থ ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করা নয়। একনাথ শিণ্ডে উদ্ধব শিবিরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে আসেন ঠাকরে। এরপর এদিন এনডিএ প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিবসেনার সমর্থন নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।