মহানগর ডেস্ক: ওষুধের এক ডোজের দাম সাড়ে তিন কোটি টাকা (Impossible Price Of Medicine)। নিশ্চয় ঘাবড়ে গিয়েছেন ওষুধের এক ডোজের দাম শুনে। ঠিকই শুনেছেন। আমেরিকার সিএসএল বেহরিংয়ের হেমোফিলিয়া বি জিন থেরাপিতে এই মহামূল্য ওযুধের দাম অনুমতি দিল সেদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে ওই একডোজের ওষুধ দেওয়ার পর প্রতিদিন রোগীকে এই রোগের জন্য আর কোনও ওষুধ দিতে হবে না। সিএসএল বেহরিংয়ের এই চোখ কপালে তোলা বা মূর্ছা যাওয়া ওষুধের নাম হেমজিনক্স, যা একবার দিলেই নিশ্চিন্ত। এক বছর রক্ত পড়বে না। সেই গ্যারান্টি মিলবে ৫৪ শতাংশ। এই থেরাপি নিয়ে এক সমীক্ষায় এই বিষয়টি জানা গিয়েছে। এই এক ডোজেই রোগীদের ৯৪ শতাংশ অনেক সময় ধরে চলা চিকিৎসা ও দামি এক্স ফ্যাকটর ইলেভেন নেওয়া থেকে রেহাই দেবে। এই ফ্যাক্টর ইলেভেন বর্তমানে মারাত্মক শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
লোনসার ইনভেস্টমেন্টসের চিফ অফিসার ও বায়োটেকনোলজি ইনভেস্টর ব্র্যাড লোনসার জানিয়েছেন, দামটা যেমন আশা করা হয়েছিল তার থেকে একটু বেশি হয়েছে। এর সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই তিনি মনে করছেন। কারণ বর্তমান ওষুধগুলিও অত্যন্ত দামি এবং হেমোফিলিয়া রোগীরা ক্রমাগত রক্তপাতের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন। ঘটনা হল জিন থেরাপি নাটকীয়ভাবে রোগের কারণকে শনাক্ত করে ভয়ঙ্কর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে। শিশুদের স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাস্ট্রোটফি চিকিৎসায় নোভার্টি এজির জোলজেনস্মা যখন অনুমোদন পেয়েছিল,তখন দাম ছিল ২.১ মিলিয়ন ডলার। রক্তের গোলমালের জন্য ব্লু বার্ড বায়ো ইনকর্পোরেশনের জাইনটেনগ্লোর দাম এ বছরের শুরুতে ছিল ২.৮ মিলিয়ন ডলার। এই ধরণের অন্যরকমের ওষুধের দাম এতটাই বেশি যে তা সাধারণ মানুষের পক্ষে তা কেন কোনওভাবেই আয়াসসাধ্য নয়। অ্যালজাইমার্স আক্রান্তদের জন্য আমেরিকায় আডুহেলম এবং ইউরোপে ব্লু বার্ডের জিনটেগলোর দামও অতি চড়া।