মহানগর ডেস্কঃ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে নির্ধারিত সময়ে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে প্রশাসনের শীর্ষ মহলে। ৪ নভেম্বর, শুক্রবার ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবকে।
তিনদিন আগেই নবান্নে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। ডিএ নিয়ে আলোচনা করতেই সোমবার নবান্নে গিয়েছিলেন, বলে মনে করেছিলেন। জল্পনা চলছিল, ডিএ নিয়ে আদালত অবমাননা মামলার শুনানির আগে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাবে কিনা। এখনই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই রাজ্যের, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হলফনামা দেওয়া এড়াতে হলে শুক্রবারের আগেই সুপ্রিম কোর্টে যেতে হত রাজ্যকে। সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। সূত্রের খবর, গত সোমবার রাজ্যের অর্থ সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত মিত্র। সেখানে ডিএ সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানানো হয়।
তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের সময়সীমা পেরিয়েছে অনেকদিন আগেই। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাই আদালত অবমাননার মামলা করে কর্মচারী সংগঠনগুলি। সেই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ৯ নভেম্বর। সম্ভাব্য শুনানির আগেই হলফনামা জমা না দেওয়ার মত ঝুঁকি হয়ত নেবে না রাজ্য। ফলত এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ এড়িয়ে যাওয়া সরকারের তরফে খানিকটা চাপের বলেই মনে করা হচ্ছে।
সব পরিস্থিতি বিচার করেই মনে করা হচ্ছে, ডিএ সংক্রান্ত সমস্যার রফা হতে পারে শুক্রবারই। আর এরপরেই সরকারকে শিগগির ডিএ ঘোষণা করতে হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।