Home Featured Pakistani Candidate In Kashmir : কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের ভোটে প্রার্থী দুই পাকিস্তানি মহিলা, বাতিল হল ভোট!

Pakistani Candidate In Kashmir : কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের ভোটে প্রার্থী দুই পাকিস্তানি মহিলা, বাতিল হল ভোট!

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: কাশ্মীরে দু বছর আগে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের ভোটে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন দুই পাকিস্তানি মহিলা (Pakistani Candidate In Kashmir)। বিষয়টি ধরা পড়ায় ফের সেই ভোট হতে চলেছে উপত্যকায়। কূপওয়ারা জেলার ড্রুগমুল্লা এবং বান্দিপোরায় আসন দুটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উন্নয়ন পর্ষদের ভোটে ওই দুই পাকিস্তানি মহিলা টিকিট পান। ভোটের ফল বেরোবার কয়েক ঘণ্টা আগে দুই মহিলা প্রার্থী সোমিয়া সাদাফ ও শাজিয়া বেগমের নাগরিকত্ব জানার পরই ভোটের ফলপ্রকাশ আটকে দেওয়া হয়। তদন্তের পর জানা যায় দুই মহিলা প্রার্থী পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁরা প্রাক্তন দুই জঙ্গিকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁরা সন্তানদের নিয়ে ২০১০ সালে সরকারের আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের পুনর্বাসন প্রকল্পের সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে কাশ্মীরে আশ্রয় নেন।

জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে তিনশো পাকিস্তানি মহিলা কাশ্মীরিদের বিয়ে করেন। ১৯০০ সালের শুরুতে ওই কাশ্মীরি-ভারতীয়রা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীত যোগ দেওয়ার জন্য পাক অধিকাংশ কাশ্মীরে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে আসে। কিন্তু ভারতে আসার পর তাদের মন পরিবর্তন হয়। তাদের কেউ কেউ পাকিস্তানি মহিলাদের বিয়ে করে। ভারত সরকার পুনর্বাসন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করার পরই তারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে নেপাল হয়ে ভারতে পালিয়ে আসে।

তবে কাশ্মীরে আসার পর পাক মহিলারা পরিচয় নিয়ে সঙ্কটে পড়ে। তারা নিয়ন্ত্রণ রেখায় বৈধ পয়েন্ট না দিয়ে ভারতে প্রবেশ না করে অবৈধভাবে কাশ্মীরে ঢোকে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জেরায় তারা স্বীকার করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভয়ে নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকেছিল। কারণ পাক সেনারা কখনও নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে আত্মসমর্পণের অনুমতি দেবে না। প্রশাসনিক কর্তারা জানান সোমিয়া সাদাফ ও শাজিয়া বেগমের নাম বাদ দেওয়ার পরে ড্রুগমুল্লা আসনে দশজন প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পাঁচজন লড়ছে হাজিন ডিডিসি আসনে। মজার ব্যাপার গত দুবছরে কয়েকজন প্রার্থী দল বদলালেও তাদের ভোটের প্রতীকে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

You may also like