মহানগর ডেস্ক: নিজের নামের পাশাপাশি আত্মীয় পরিজন এমনকি অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের নামেও ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকা রাখতেন বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya), এমনটাই প্রমাণ পেয়েছেন ইডির (ED) অফিসাররা। এছাড়াও, নিজের নাম এবং পদের প্রভাব খাটিয়ে ছেলের সংস্থার মাধ্যমেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন মানিক, দাবি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।
প্রায় এক দশক প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি পদে নিয়োজিত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তার সময় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজারেরও বেশি। তাদের মধ্যে বেশ কিছু প্রার্থীদের নিয়োগ হয়েছে বেআইনিভাবে। আর তার পিছনে কোটি কোটি টাকা হাতানোর গল্প রয়েছে, বলে দাবি ইডির। আদালতে ইডি দাবি করেছে, চাকরি বিক্রির গোটা ঘটনায় ‘মূল মাথা’ হিসেবে কাজ করতেন মানিক। এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকার আর্থিক লেনদেন।
তাহলে সেই টাকা গেল কোথায়? এমনই প্রশ্নের মুখে ইডির দাবি, মানিক ভট্টাচার্য নিজে এবং পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কিছু আত্মীয়-পরিজন এমনকি অজ্ঞাত পরিচয়েরও বেশ কিছু ব্যক্তির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে টাকা রাখতেন। সুতরাং সব টাকাই গচ্ছিত রয়েছে ব্যাঙ্কে।
এছাড়াও ইডির তরফ থেকে চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, নিজের ছেলের সংস্থার সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষণ সংস্থার চুক্তি করে প্রায় ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন মানিক। এই বিপুল টাকা হাতানোর পরও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করেনি মানিক পুত্রের সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে টাকাও ফেরত দেওয়া দেননি। সবটা মিলেই ইডির দাবি, বিপুল পরিমাণ টাকা নানা উপায় হাতিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি যথাযথ জবাব দিচ্ছেন না। উল্টে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন।