মহানগর ডেস্ক: গতকালের মেলবোর্নের মাঠে শেষমেষ আগ্রাসী বিরাট কোহলি ও অশ্বীন কুমার বলে বলে নওয়াজের বল পিটিয়ে ছাতু করে দিয়েছে। নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গেছে আজমদলের। তাই মন ভেঙে পড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাক অধিনায়কের গলায় অন্য সুর। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের হতাশা থেকে নতুন করে উৎসাহ দিতে বাবর বলে ওঠেন, ‘দল হিসেবে হেরেছি, দল হিসেবেই জিতব’।
মূলত বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে জয়ের সুযোগটা পাক হলের কাছে শুধু দেশকে এগিয়ে দেওয়া নয়, বলা যায় ভারতকে হারানোর মধ্যে তাদের একটা অন্য আত্মতুষ্ঠি আছে। আর সেই ম্যাচে হার মানেই তাদের কাছে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার সমান। আর রবিবারের ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে পাক ক্রিকেটাররা রীতিমতো মুষড়ে পড়েন। তাই সাজঘরে হ্যারিস রউফ-মহম্মদ নওয়াজদের হতাশা কাটানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় ক্যাপ্টেন বাবর আজমকে। যেখানে বাবরকে প্রকৃত অধিনায়ক সুলভ বার্তাকারি বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আইসিসি।
প্রসঙ্গত, এ দিনের ম্যাচে পাক দলের হয়ে শেষ ওভারে বল করতে নামে নওয়াজ। অপরদিকে ভারতের হয়ে ব্যাট ধরে বিরাট ও অশ্বিন কিন্তু তার প্রতিটি আক্রমণাত্মক বলকে পিটিয়েছে আক্রমণাত্মক কোহলি এবং শেষে অশ্বিনের শট রানের পরেই জয় আসে ভারতের। আর এর পরই নওয়াজকে যাতে দোষের বলি না হতে হয় সে কারণেই দলের বাকিদের উদ্যেশে বাবর ভিডিওতে বলেন প্রথমত ‘দিনের শেষে কোনও একজনের জন্য আমরা ম্যাচ হারিনি। আমরা সবাই মিলে হেরেছি। কেউ যেন কারও দিকে আঙুল না তোলে। দল হিসেবেই আমরা হেরেছি, দল হিসেবেই আমরা জিতব। আমাদের একজোট থাকতে হবে। অসাধারন ম্যাচ হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টায় খামতি ছিল না। কিছু ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে। সেই ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে প্রত্যেককে। সেগুলি নিয়ে আমদের আরও খাটতে হবে।’
এমনকি নওয়াজ যাতে আত্মগ্লানিতে না ভোগে সে কারণেই অধিনায়ক বলেন, ‘বিশেষ করে নওয়াজ, একদম চিন্তা করিস না। তুই আমার ম্যাচ উইনার। যা কিছুই হয়ে যাক তোর উপর আমার বিশ্বাস থাকবে। তুইই আমাদের ম্যাচ জেতাবি। চাপের ম্যাচ ছিল। তুই শেষ পর্যন্ত লড়াই টেনে নিয়ে যেতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিস।’ সব শেষে বাবরের যোগ ‘যা ঘটেছে সবকিছু এখানে ফেলে রেখে নতুন করে আমাদের পরবর্তী ম্যাচ শুরু করতে হবে। সবাইকে শুভকামনা।’