মহানগর ডেস্ক: আবারও রাশিয়ার বিরূদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলো ভারত।
সেই পথে হাঁটলো বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ একাধিক দেশ।
মঙ্গলবার রাতে ১৯৩ সদস্যের রাষ্ট্রপুঞ্জের (g20 summit 2022) সাধারণ পরিষদে যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রস্তাব সমর্থন চেয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি তোলা হয়। সেই প্রস্তাবে ৯৪টি দেশ সমর্থন জানালেও ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান- এই তিন দেশ সমর্থন করেনি। তারা ভোট দানে বিরত থাকে। একই অবস্থান নেয় সদস্য দেশগুলির বাকি দেশ গুলি।
উল্লেখ্য, ভোট দেয়নি শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভুটান, ইসরাইল, মিশর, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলিও। সেই প্রস্তাবে যুদ্ধে মৃতদের এবং ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের ক্ষতিপূরণ দাবি করে ইউক্রেন। সেই প্রস্তাবের বিরুদ্ধচারণ করে বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চিন, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, ইরান, সিরিয়া এবং বেলারুশ। তবে বরাবরের মতো ভারত-সহ একাধিক দেশ নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে। আর এই উভয় দেশের পক্ষে-বিপক্ষে কোনও অবস্থান না নেওয়ার পিছনে খাদ্য রপ্তানিতে পুতিন প্রশাসনের সাম্প্রতিক ইতিবাচক ভূমিকার যুক্তি খাড়া করেছে।
পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধস্তর পরিস্থিতিতেও কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি সংক্রান্ত চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হবে।
কারণ ইউক্রেনের খাদ্যদ্রব্য অন্যান্য দেশের রপ্তানি হলে খাবারের দাম অনেক অংশেই হ্রাস পাবে। ভোজ্যতেল ও আটার দাম তারতরিয়ে নিম্নমুখী হবে বলে আশা ওয়াকিবহাল মহলের। আর সেই উপকৃত হওয়া দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান।
উল্লেখ্য এই তিন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা প্রস্তাবের সমর্থন না জানালেও ইন্দোনেশিয়ায় জি ২০ বৈঠকে (g20 summit 2022) ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে নামনা করেই রাশিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরব হয়েছেন, যুদ্ধ থামানো নিয়ে। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ না থামালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।