মহানগর ডেস্ক: ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা (CORONA) সংক্রমণ। বড়দের সঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। এখনও পর্যন্ত দেশে ১২ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি। এর মাঝে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক বাড়াচ্ছে দেশবাসীদের মধ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬,১৩৫ জন।
বিগত এক মাস ধরে সংক্রমণ গোটা দেশে বাড়তে শুরু করেছে। গবেষকদের দাবি, চতুর্থ ঢেউ দেশে থাবা বসাতে শুরু করেছে। একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করে দিয়েছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যাও। চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বেশিরভাগ বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে জ্বর, হালকা সর্দি, গলা ব্যথা। আর যাঁরাই গায়ে জ্বর নিয়ে টেস্ট করাচ্ছে, তাঁরাই কোভিড পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে’। তাঁর কথায়, এবারে ডেঙ্গির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে অনেকের মধ্যে।
আরও পড়ুন : তপন দত্ত খুনে নয়া মোড়, দায়ের এফআইআর
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, করোনাকে হারিয়ে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪,২৮,৭৯,৪৭৭ জন। প্রাণ গিয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এদিকে করোনাকে হারাতে জোর কদমে জারি রয়েছে টিকাকরণ। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এখনও পর্যন্ত ১৯৭ কোটি ৯৮ লক্ষ্যের বেশি করনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে করোনার নয়া উপসর্গ নিয়ে আম জনতাকে সতর্ক করছে চিকিৎসক মহল। এখন পেটের সমস্যাও করোনা ভাইরাসের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রথমে এগুলিকে সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে না ধরা হলেও, এখন পরীক্ষা করতে গিয়ে জানা যাচ্ছে ওই রোগীও কোভিড পজিটিভ। দেখতে গেলে, সামান্য শারীরিক সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এখন প্রয়োজন।
যদিওবা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংক্রমণ বাড়লেও ভয়ের কিছু নেই। শুধু সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে যদি জ্বর, সর্দি বা পেট খারাপের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই করোনা টেস্ট করাতে হবে এবং তাদের আইসোলেশনে রাখতে হবে। স্কুল বা কোচিং ক্লাসে একেবারেই যাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার অভ্যাসে রাখতে হবে।