মহানগর ডেস্ক: তিন ভাই কোচিং থেকে একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে দোকান থেকে নিমকি খাওয়াই কাল হল তাদের।হঠাৎ শুরু হয় বমি, নিমকি খাওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই।একই পরিবারের তিন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।তাদের মধ্যে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে।গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে বাকি দুই শিশু।উত্তর দিনাজপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শনিবার দুপুরের এই ঘটনায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের পন্ডিতপোতা (১) পঞ্চায়েতের গড়হণডাঙা এলাকায়। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে অসুস্থ তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক সেখানে এক শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে বাকি দুই খুদে আশঙ্কজনক অবস্থায় ভর্তি।মৃত শিশুর নাম আরমান রেজা (৬)। তিন শিশুই গড়হণডাঙ্গা প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র।বাকি অসুস্থ দুজনের বয়স ১০ ও ৮ বছর।ইসলামপুর বিডিও রজতরঞ্জন দাস এবং ইসলামপুর থানার আইসি সন্দীপ চক্রবর্তী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে রাস্তার দোকান থেকে ময়দার তৈরি বাসি নিমকি খায় গড়হণডাঙা এলাকার বাসিন্দা পেশায় অটো চালক জামিল আক্তারের তিন ছেলে।তার পরই অসুস্থ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বাকি দুই ভাই।ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হামিদ আলম বলেন,”বাড়ি থেকে টিউশনে যাওয়ার পথে দোকানে নিমকি খায় তিনজনই। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।”
পন্ডিতপোতা পঞ্চায়েতের সদস্য আসিরুদ্দিন বলেন,”কোথাকার খাবার খেয়ে মৃত্যু হল,তা তদন্ত করা প্রয়োজন।”অপরদিকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার সুরোজ সিনহা বলেন,”সম্ভবত খাবারে বিষক্রিয়া হয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে স্পষ্ট জানা যাবে।”