মহানগর ডেস্ক: মাস কয়েক আগেই ওড়িশার বালাসোর জেলায় তিনটি ট্রেনের মারাত্মক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৯৭ জনের। ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। বিরোধীরা মোদী সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। এই ঘটনার চার মাস পর, ভুবনেশ্বর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) কর্তৃপক্ষ আরও ২৮টি অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করল সেখান থেকে, যা দেখে পুলিশ রীতিমতো হতবাক। জানা গিয়েছে, নাগরিক সংস্থাটি ২৮ জনের অবশিষ্টাংশের বৈজ্ঞানিকভাবে নিষ্পত্তি করার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি জারি করেছে। যাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও সঠিক দাবিদার খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে বিএমসি মেয়র সুলোচনা দাস সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের দাবিহীন মৃতদেহ গুলির বৈজ্ঞানিক নিষ্পত্তির জন্য একটি এসওপি জারি করেছি। মৃতদেহগুলি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং আমরা মঙ্গলবার দাহ করার পরিকল্পনা করছি।”
সূত্র জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তকারী সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) খুরদা জেলা কালেক্টরকে চিঠি লিখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৃতদেহের নিষ্পত্তির জন্য বিএমসি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। জুন মাসে দুর্ঘটনার পরে মৃতদেহগুলিকে ভুবনেশ্বর এইমস-এ রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই শহরের সত্যনগর এবং ভরতপুরের শ্মশানে মৃতদেহগুলিকে পাঠানো হবে। AIIMS ভুবনেশ্বরের পরিচালক মৃতদেহগুলির দাহ করার জন্য রাজ্য, কেন্দ্র এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিদ্যমান নিয়ম ও নির্দেশিকা অনুসরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতদেহগুলিকে বিএমসি স্বাস্থ্য অফিসারের কাছে হস্তান্তর করবে। বিএমসি দ্বারা জারি করা এসওপি অনুসারে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফীর মাধ্যমে হবে।
AIIMS ভুবনেশ্বর ১৬২ টি মৃতদেহ পেয়েছিল এবং তাঁদের মধ্যে ৮১ টি মৃতদেহকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে, ডিএনএ পরীক্ষার পরে পরিবারের সদস্যদের আরও ৫৩ টি মৃতদেহ দেওয়া হয়। পারাদ্বীপ পোর্ট ট্রাস্ট থেকে সংগ্রহ করা অন্তত পাঁচটি ডিপ ফ্রিজার কন্টেইনারে মৃতদেহগুলিকে রাখা হয়েছিল। গত ২ জুন শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্য ট্রেন দুর্ঘটনাটি হয়। করমন্ডেল এক্সপ্রেস একটি স্থির পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়, যার বেশিরভাগ বগি লাইনচ্যুত হয়।