মহানগর ডেস্ক: জুলাই মাসে মণিপুরে দুই ছাত্রের ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের ছবি গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে দুই মেয়ে ছাড়াও চারজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারীকে আটক করেছে। এই মূহুর্তে চারজনকে আসামের গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন পাওমিনলুন হাওকিপ, মালসাউন হাওকিপ, লিংনিচং বাইতে এবং তিননিখোল। খুন হওয়া ছাত্রী লাইংনিচং বাইটের বন্ধু ছিলেন বলে প্রত্যক্ষ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন চুরাচাঁদপুর ভিত্তিক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর স্ত্রী।
মণিপুর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ক্র্যাক ইউনিট একটি যৌথ অভিযানে ইম্ফল থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে পার্বত্য জেলা চুরাচাঁদপুর থেকে সন্দেহভাজনদের আটক করেছে। গত ৩ মে থেকে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি কুকি বিদ্রোহী দল যারা ত্রিপক্ষীয় অভিযান স্থগিত করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, তাঁদের নিয়েও ঝামেলা। সিবিআই দল, সন্দেহভাজন দের আজ সন্ধ্যা ৫:৪৫ নাগাদ ইম্ফল থেকে শেষ ফ্লাইটে তাঁদের আটক করেছে। সূত্রের মতে, গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে কয়েকজন বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকেই তাঁদের পাকড়াও করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে মণিপুরের ওই দুই ছাত্রকে হত্যা করা হয়।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আজ সাংবাদিকদের বলেন, মায়ানমার ও বাংলাদেশের সন্ত্রাসীরা মণিপুর সঙ্কটকে কাজে লাগানোর জন্য কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। গতকাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সন্ত্রাসী নেতাদের জড়িত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মামলায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা চুড়াচাঁদপুর থেকে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে চুড়াচাঁদপুরে রাস্তায় নেমে আসে বিশাল জনতা। পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। জুলাইয়ে নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রের মৃতদেহ দেখানো ফটোগুলি ২৬ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে, যার পরে মণিপুর সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।