মহানগর ডেস্ক: আজ গোটা বিশ্বের কাছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হলেও ভারতের জন্য আজ প্রেমের নয় বরং কালো দিন। আজকের দিনেই ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে হয়েছেছিল দেশের সবথেকে বড় জঙ্গি হামলা। নেপথ্যে ছিল পাক মতদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ। আত্মঘাতী বোমা হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ভারত মায়ের ৪০ জন বীর সন্তান।
২০২১৯ সালে সকলে যখন নিজেদের ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে মনে কথা ও সুন্দর সময় কাটাতে ব্যস্ত ছিল ঠিক তখনও রক্তাক্ত হয়েছিল ভূস্বর্গ। সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানদের দেহ। সেই ঘটনার ৫ বছর পূর্ণ হল। আজও সেই ভয়ানক স্মৃতি গোটা দেশের মানুষের মনে টাটকা। ওটাই ছিল কাশ্মীরের বুকে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হানা।
জেনে নিন ৫ বছর আগে ঠিক কী ঘটেছিল পুলওয়ামায়?
ওই দিন শ্রীনগর হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় সেনার ৪০ থেকে ৫০টি গাড়ি। ২৫০০ জওয়ান ছিলেন সমস্ত গাড়ি মিলিয়ে। সেই সময়ে পূর্ব পরিকল্পনা করেই জম্মু থেকে শ্রীনগর যাওয়ার জাতীয় সড়কে লুকিয়ে বসে ছিল । ঠিক যে সময়ে কনভয় যাচ্ছিল তখনই কাকাপোরা-লেলহর লিঙ্ক রোড দিয়ে একটি লাল গাড়ি প্রবেশ করে । যাতে বোঝাই করা ছিল আইইডি। ওই পাক জঙ্গিদের গাড়ি ৫৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের বাসে ধাক্কা দিলেই বিরাট বিস্ফোরণ ঘটে। ধাক্কা দেওয়ার পরেই কনভয় লক্ষ্য করে অবিরাম গ্রেনেড ও গুলিবৃষ্টি করতে শুরু করে জঙ্গিরা। জইশ-ই-মহম্মদের এই হামলায় ৪০ জন বীরকে হারায় দেশ। যাদের মধ্যে ছিলেন দুই বাঙালি জওয়ান। এই ঘটনার আগের দিনেই পুলওয়ামার স্কুলে বিস্ফোরণে আহত হয়েছিল ১০ ছাত্র। যে হামলা করেছিল তাকে আদিল আহমেদ দার নামে চিহ্নিত করা হয়।
তবে বসে থাকেনি ভারত। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ১২ দিন পর আকাশপথে পাল্টা আঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা। ২১ মিনিটের নিখুঁত অপারেশন হয়। ভারতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় এই বিমান হামলায় জইশ-ই -মহম্মদের কন্ট্রোল রুম উড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ যুদ্ধবিমান। প্রায় সাড়ে তিনশো জঙ্গির মৃত্যু হয় বলে দাবি করা হয়।